কমলগঞ্জ প্রতিনিধি।।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় ক্ষুদ্র নৃ – গোষ্টির (মনিপুরী সম্প্রদায়ের) এক নারীর উপর পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলার ও বেধড়ক মারপিটের খবর পাওয়া গেছে।
গত শনিবার ১৯শে সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৫:৩০ মিনিটের সময় মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের কাটাবিল গ্রামের বাসিন্দা উমেদ মিয়া (৫০) মনিপুরী ক্ষুদ্র জাতি নৃ-গোষ্ঠি সম্প্রদায়ভুক্ত নারী চাউবিহান দেবী (৬০) এর উপর হামলা করেন বলে কমলগঞ্জ থানার পুলিশ সুত্রে জানা যায় ।
তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, ঐদিন বিকেলে বর্ণিত উমেদ মিয়া তার ক্ষেতের সবজি চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে চাউবিহান দেবীকে ডেকে নিয়ে সবজি ক্ষেতে লাঠি দিয়ে এলোপাতারি ভাবে মারতে থাকে। তখন চাউবিহানের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে চাউবিহানকে রক্তাক্ত ও মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে
আহত চাউবিহানকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।বর্তমানে সে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন । এ বিষয়ে কমলগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ দায়েরী করা হয়েছে।
এদিকে উমেদ মিয়া কর্তৃক মনিপুরী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনকে প্রাণনাশের হুমকিসহ কাটাবিল গ্রাম থেকে মনিপুরী সম্প্রদায়কে বিতারিত করবে বলে হুমকি দেয়ারও অভিযোগ করছে স্থানীয় মণিপুরী সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা।
তবে উল্লেখ্য যে, গত ২৩শে আগষ্ট কাটাবিল গ্রামের বাসিন্দা চাউবিহান দেবী (৬০), স্বামী- নাতেক সিংহের বসত ঘর থেকে দিবাগত রাতে ১১ মণ ধান চুরি হয়। পরদিন সকালে অনেক খোজাখোজির পর একই গ্রামের বাসিন্দা জনৈক আনসার মিয়া মারফত জানতে পারে, ঐদিন রাত আনুমানিক ০১:৩০ মিনিটে সময় ১,নিয়ামত আহমেদ, ২, শাকিল মিয়া, ৩,শামীম মিয়া, সর্ব সাং- কাটাবিল পিতা : অজ্ঞাত এই ব্যক্তিরা চাউবিহান দেবীর বাড়িত আশপাশ ঘুরতে দেখা যায় । উক্ত সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য চাউবিহান দেবী স্থানীয় ইউপি সদস্য নিকট শরনাপন্ন হন। ইউপি সদস্য বিষয়টি কমলগঞ্জ থানা পুলিশকে জানালে তারা পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দেয় পরে চুরিকৃত ৬ মণ ধান পুলিশ উদ্ধার করে।
Leave a Reply