বাংলাদেশ মণিপুরি মুসলিম ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (বামডো)-এর কার্যনির্বাহী কমিটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি মোঃ নূর উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক আব্দুল খালেক ও সমাজকল্যাণ পদে হাফেজ শফিকুল রহমান নির্বাচিত হয়েছে। উৎসবমুখর, শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠু ভাবে মণিপুরি মুসলিম সমাজের সবচেয়ে প্রাচীন এবং বৃহৎ সমাজিক সংগঠন বাংলাদেশ মণিপুরি মুসলিম ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (বামডো)-এর আজ দ্বিবার্ষিক (২০২১-২০২২ মেয়াদের) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১০ জানুয়ারি ) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে আদমপুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী তেতই গাঁও রসিদ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের এই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকেই ব্যাপক আগ্রহ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটারগণ তাদের ভোট প্রদান করেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল প্রার্থীদের সহ-অবস্থানে এক আনন্দঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সভাপতি মোঃ নূর উদ্দিন ( ছাতা) ভোট পেয়েছেন ২৬৭টি, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল মতিন (আনারস) পেয়েছেন ২৩৭ ভোট। আর সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুল খালেক পেয়েছেন ৩২২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল হেকিম ভোট পেয়েছেন ১৮৮ ভোট। সমাজকল্যাণ পদে হাফেজ শফিকুল রহমান ( বাল্ব) পেয়েছেন ৩১৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফখরুল ইসলাম (কাঠাল) পেয়েছেন ১৯০ ভোট। সোমবার সন্ধ্যায় ফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মজিদ। এ সময় নির্বাচন পরিচালনায় প্রিজাইডিং অফিসার ছিলেন জয় কুমার হাজরা। বামডো নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব আইনূর উদ্দিন, সদস্য এস.এম.এ রেজা উদ্দিন রাজু, ফজলুল রহমান উপস্থিত ছিলেন। তেতই গাঁও রসিদ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে কার্যনির্বাহী কমিটির ৬ টি পদে ভোটগ্রহণ হয়। নির্বাচনে ৬৪২ ভোটারের মধ্যে ৫১৭ভোট দেন। ফল ঘোষণার পর বামডো সদস্যদের উদ্দেশ্যে প্রতিক্রিয়ায় নবনির্বাচিত সভাপতি নূর উদ্দিন বলেন, সংগঠনের উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এজন্য সবার সহযোগিতা চাই। বামডো’র ১১টি পদের মধ্যে ৮ টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে -সহ সাধারন সম্পাদক মোঃ সেলিম রেজা, আন্তর্জাতিক ও নারী বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নাসির উদ্দীন, ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ ঈসমাইল হোসেন, অফিস সম্পাদক মোঃ ফেরদৌস আহম্মদ, কোষাধ্যক্ষ মোঃ নূর মোহাম্মদ, সহ সভাপতি মোঃ মজর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ উসমান খান, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক মোহাম্মদ বীন তাহের।