রাসেল আহমদ (গোলাপগঞ্জ সিলেট) প্রতিনিধি।।
অভিযোগ আর অভিযোগ। এ যেন অভিযোগের পাহাড়। গত এক সপ্তাহ থেকে যাত্রীদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে বাড়তি ভাড়া নৈরাজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন গোলাপগঞ্জের অটোরিকশার চালকেরা। ৩ জন যাত্রীবহন করার নির্দেশনা থাকলেও নিচ্ছেন ৫ জন যাত্রী। ৫ জন যাত্রী নিলেও নেয়া হচ্ছে ৩ জন যাত্রীর সমপরিমাণ ভাড়া। ৫ টাকার জায়গায় ১০ টাকা। ১০ টাকার জায়গায় ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এসব গাড়ির চালকদের বিরুদ্ধে। অনেক সময় যাত্রীরা চালকদের সাথে ভাড়া নিয়ে তর্কে জড়িয়ে যাচ্ছেন।
দেখা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বা সাংবাদিকদের বিভিন্ন নিউজের কমেন্টে এসে অসহায় জনসাধারণ চালকদের বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করে যাচ্ছেন। তারা দাবি করেন, উপজেলার অটোরিকশা চালকেরা তাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে ভাড়া নৈরাজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে প্রশাসনেরও দৃষ্টি কামনা করেছেন অনেকে।
মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকালে যাত্রীদের এমনই অভিযোগের প্রমাণ পান স্বয়ং প্রতিবেদকও। গোলাপগঞ্জ পৌর শহরের চৌমুহনী থেকে উপজেলা পরিষদের সামনের ভাড়া ৫ টাকা। ৩ জন যাত্রী নেওয়ার কথা থাকলেও চালক নিয়েছেন ৫ জন। গাড়ি থেকে নামার সময় চালক দাবি করে বসেন ১০ টাকা ভাড়া।
১০ টাকা ভাড়া কেন জানতে চাইলে অটোরিকশা চালকের উত্তর ‘উপজেলার সামনে গেলে প্রশাসন জরিমানা দিয়ে দেয়।’ তাই জরিমানার ঝুঁকি নিয়েও যাত্রী বহন করছি, এজন্য ১০ টাকা করে দিতে হবে।’
রেদওয়ান আহমদ নামের এক যাত্রী বলেন, গোলাপগঞ্জ চৌমুহনী থেকে ঢাকাদক্ষিণের ভাড়া ১৫ টাকা। চালকেরা ৫ জন যাত্রী নিলেও আমাদের কাছ থেকে ২০-২৫ টাকা করে নিচ্ছেন।
ভাদেশ্বর থেকে গোলাপগঞ্জ চৌমুহনীতে অটোরিকশা যোগে আসা এক যাত্রী বলেন, লকডাউনে আমরা সাধারণ যাত্রীরা অটোরিকশার চালকদের কাছে জিম্মি হয়ে পরেছি। বাড়তি ভাড়া নেওয়ার প্রতিবাদ করলে তাদের সাথে তর্কে জরাতে হয়।
অটোরিকশা চালক বলেন, আমরা অনেক যাত্রীর কাছ থেকে চেয়ে টাকা নিচ্ছি। যারা দেয় না তাদের কাছে আমরা টাকা চাইনা। যেটা ভাড়া সেটাই দিয়ে যান।