অনলাইন ডেস্ক নিউজ ।।
স্বামীকে হত্যা করে প্রেমিকের সঙ্গে একই ঘরে
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নে অনীল সরকারের ছোট ছেলে অসীম সরকার(২৬) দীর্ঘ চার বছরের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন এবং এই প্রেম থেকে অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে বিয়ের কথা বললেই সম্পর্কে ফাটল ধরে। প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে ওই তরুণী।
স্হানীয় সূত্রে শুনা যায় যে, উপজেলার উত্তর মুরাদিয়া গ্রামের অনিল সরকারের ছোট ছেলে অসীম সরকারের(২৬) এর সাথে পটুয়াখালী সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের কাকড়াবুনিয়া গ্রামের সুবাস হালদারের কন্যা মুক্তা রানী হালদারের চার বছর আগে থেকে গভীর প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এক পর্যায়ে তারা অনৈতিক সম্পর্কে জরিয়ে পড়ে। প্রায় দুই (২)বছর যাবৎ
প্রেমিকা মুক্তা বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করে প্রেমিক অসীম সরকারকে তখন সে নানা টালবাহানার করে। একপর্যায়ে সে সবধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। অবশেষে নিরুপায় হয়ে প্রেমিকা মুক্তা রানী গত ৭ই ফেব্রুয়ারী সোমবার সন্ধ্যা থেকে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক অসিম সরকারের বাড়িতে এসে অবস্থান নেয়।
এবিষয় মু্ক্তা রানী বলেন যে, ‘আমি মুক্তা (প্রেমিকা), অসিমের (প্রমিক) সাথে বিয়ে ছাড়া বাসা থেকে আর কোথাও যাবো না। যদি যেতে হয় তবে আমার লাশ যাবে। কোন প্রকার চাপে ফেলে আমাকে এ ঘর থেকে নামাতে পারবে না কেউ। তিনি আরো বলেন যে, এ ব্যাপারে অসীমের পরিবারকে জানালে অসীমের বাবা আমার
পরিবারকে বলেন অন্য কোথাও আমাকে বিয়ে দিলে তিনি সহযোগিতা করবেন। তাই আমির (মুক্তা) আর কোনো উপায় না দেখে মান সন্মান বিসর্জন দিয়ে আমার ন্যায্য অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য প্রেমিক অসীমের বাড়িতে অবস্থান করি। তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরে আমাকে তাদের মেয়ের মত মনে করে গ্রহণ করবে।
মুক্তা রানী হালদারের মা শেফালী রানী হালদার অভিযোগ করে যে, অসিমের পরিবার বিষয়টি আত্মগোপনে রেখে মিমাংসার নামে আমি ও আমার মেয়ের ওপর নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করে আসছে। উল্লেখ্য ৪ মেয়ে ও ২ ছেলের মধ্যে মুক্তা হালদার ৫ম সন্তান। সে এ বছর এইচ এস সি পরীক্ষায় লোহালিয়া বানিয়াকাঠি মহিলা কলেজ থেকে জিপিএ ৩.৭০ পেয়ে পাস করে ।
গত কাল সোমবার (১৪ই ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পর্যন্ত মুরাদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান,লোহালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও শ্রীরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান,ও বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকগণ সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অনীল সরকারের বাড়িতে এক বৈঠক বসে।
মুরাদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সিকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন যে, উভয় পরিবারের সম্মতিতে মিমাংসার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে অভিযুক্ত ছেলে অনুপস্থিত। তাই তার বাবা-মাকে ছেলেকে বাড়িতে আনার জন্য বলা হয়েছে।
এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য হানিফ হাওলাদার বলেন যে, বিষয়টি জানার পর অসীমের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। বিষয়টি নিষ্পত্তির আশ্বাস পেয়েছি এবং চেয়ারম্যান এ বিষয়ে বেশ আন্তরিক।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন যে, ঘটনাটি শুনেছি। তবে এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।অভিযোগ পেলে এর আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।