অনলাইন ডেস্ক নিউজ ::
তারা যদি কথা শুনত তাহলে জল এত দূর গড়াত না ইলিয়াস কাঞ্চন
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে চুরির অপবাদে শিশু ও এক যুবব কে অমানুষিক নির্যাতনের ঘটনায় তিন নির্যাতন কারীকে তাৎক্ষণিক পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের পাঠান পাড়া গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে মহিবুর রহমান ওরফে মহিত চৌধুরী, একই গ্রামের ইদু মিয়ার ছেলে ইয়াসিন মিয়া, লায়েস মিয়ার ছেলে তারা মিয়া। শুক্রবার ভোরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের বিভিন্ন স্হান থেকে গ্রেপ্তার করে।
প্রসঙ্গত,বৃহস্পতিবার রাতে চুরির অপবাদে শিশু ও যুবককে বিচারের নামে অমানুষিক নির্যাতনের একটি ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় যে, গত মঙ্গলবার বিকাল ৪ টার দিকে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের পাঠান পাড়া পয়েন্ট সংলগ্ন স্হানে শত শত মানুষের সামনে স্হানীয় ওয়ার্ড মেম্বার সাগরের উপস্থিতিতে বিচারের নামে শিশু ও এক যুবককে হাত পা বেধে মহিত চৌধুরী নামে একজন মাটিতে ফেলে লাটি দিয়ে বেদড়ক পিটাচ্ছেন।
আরো কয়েকজন তাদের রশি দিয়ে বেধে মাটিতে ফেলে ঘিরে রেখেছেন। তারা নির্যাতন থেকে বাঁচার জন্য বার বার আকুতি মিনতি করলেও তাদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। আহতরা হলেন, বাদাঘাট ইউনিয়নের কুনাট চড়ার মৃত ওয়াদ আলীর ছেলে আবু বক্কর (৩২), একই গ্রামের ফজর আলীর ছেলে খোরশেদ মিয়া(১৪)।
এমন একটি ভিডিও ফুটেজ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ ইফতেখার হোসেনের নজরে আসে। পরে তার নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে মূল হোতা সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, নির্যাতনের শিকার আবু বক্করের ভাই আব্দুনুর বাদি হয়ে ১০ জনকে আসামি করে তাহিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার পর পর মূল হোতা সহ তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তিনি বলেন, পুরো ঘটনাটি পুলিশ খতিয়ে দেখছে। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।