এম মহিউদ্দিন খাঁন বিশেষ প্রতিনিধি।। সিলেটাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র শৈত্য প্রবাহ।
এমতাবস্থায় মৌলভীবাজার হাসপাতালসহ সাড়াদেশে বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগবালই। এ তীব্র শীতে সব’থেকে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
আজ মঙ্গলবার (২লা ফেব্রুয়ারি) সকালে মৌলভীবাজার জেলা সদর হাসপাতাল গুরে দেখা গেছে যে, শিশু ওয়ার্ডে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। আজ সকাল পর্যন্ত শুধুমাত্র নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছে ৪৮টি শিশু।
এরই মধ্যে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ২৬ এবং ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ২২ শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। তবে শীতের প্রকোপ বাড়ায় আশঙ্কা করা হচ্ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
হাসপাতালে ভর্তি একটি শিশুর মা বলেন যে, গত’দুই’দিন ধরে আমার বাচ্চার ঠাণ্ডা লেগেছে। ডাক্তার চিকিৎসা করছেন। রাতে জ্বর ওঠে আবার দিনে কমে।
আরেক শিশুর মা বলেন যে, আজকে তিন দিন ধরে বাচ্চাকে নিয়ে হাসপাতালে আছি। এর আগে একবার সুস্থ হয়ে বাড়ি গেলেও আবার অসুস্থ হওয়ার কারণে বাচ্চাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছি।
এসময় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ পার্থ সারথি দত্ত কাননগো আইনিউজকে বলেন যে,এই সময়ে শীতজনিত কারণে এই দুটি রোগের প্রাদুর্ভাব একটু বেশি থাকে। তাই এই সময়ে আগের চেয়ে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা সতর্ক আছি।
তবে ঠান্ডায় অভিভাবকদের করণীয় যাহঃ-
ডাঃ পার্থ সারথি দত্ত কাননগো বলেন যে, তীব্র শীতের এই সময়ে অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে হবে যেন শিশুর শরীর সঠিক মাত্রায় থাকে এবং ঠাণ্ডা না লাগে। এজন্য গরম কাপড় পরিয়ে রাখতে হবে। শীতের সময় শিশুর ঘরের বাইরে না যাওয়াই উচিত।
এছাড়াও ছয় মাস বয়সী শিশুকে শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেন ডাঃ পার্থ সারথি দত্ত কাননগো। এসময়ে শিশুদেরকে বারবার বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
আরেকটি জরুরি বিষয় হচ্ছে যে, ভাইরাসজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা দেয় সেটা প্রতিরোধে শিশুকে সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখতে হবে। বাইরের খাবার গ্রহণ থেকে বিরত রাখতে হবে। অভিভাবকদের এগুলো মেনে চলতে হবে । কোনোভাবেই বাসি খাবার শিশুদেরকে খাওয়ানো যাবে না। এভাবে যদি শিশুর প্রতি অভিভাবকরা সতর্ক থাকেন তাহলে ঠাণ্ডাজনিত রোগ নিয়ন্ত্রণ সহজে করা যাবে।