অনলাইন ডেস্ক নিউজ ::
বলিউড কাঁপানো অসংখ্য নায়িকা ভারতে জন্ম নয়
কাতার ফুটবল বিশ্ব কাপের খেলা ফাইনাল ফাইনালের মতোই হলো। শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে রোমাঞ্চ ছড়িয়ে টাইব্রেকারে (৪-২) গোলে জিতে তৃতীয়বারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলো আর্জেন্টিনা।
আবারও লিওনেল মেসির গোল। ফের এগিয়ে গেল আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ১০৮ মিনিটে গোল করে দলকে দ্বিতীয় দফায় এগিয়ে নেন লিওনেল মেসি।
তার পর মাত্র ১০ মিনিট ব্যবধানে ডি বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল হলে পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। পেনাল্টি থেকে গোল করে হ্যাটট্রিকপূর্ণ করার মধ্য দিয়ে খেলায় ফের সমতায় ফেরান এমবাপ্পে।
এ পেনাল্টি থেকে গোল করেই রিদম ফিরে পায় ফ্রান্স। মাত্র ২ মিনিটেই এলোমেলো আর্জেন্টিনা। ২ গোল করে ৭৯ মিনিট এগিয়ে থেকেও দুই মিনিটে ২ গোল খেয়ে বসে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। পেনাল্টি থেকে গোল করার মাত্র ১ মিনিট ব্যবধান গোল করে ফ্রান্সকে (২-২) সমতায় ফেরান কিলিয়ান এমবাপ্পে।
তবে ৭৮ মিনিটে কুলো মুয়ানিকে ডিবক্সের ভেতর ফাউল করে বসেন ওতামেন্দি। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান। স্পট কিক থেকে বিশ্বকাপে নিজের ৬ষ্ঠ গোলটি করেন এমবাপ্পে।
এ গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও গোল করেন এমবাপ্পে। ৮১ মিনিটে দুর্দান্ত ভঙ্গিতে গোল করে দলকে ২-২ এ সমতায় ফেরান এই পিএসজি তারকা।
তবে কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালে তৃতীয়বারের মতো শিরোপার লড়াইয়ে আর্জেন্টিনা ফ্রান্স। দুই দলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় লিওনেল মেসির নেতৃত্বাধীন আর্জেন্টিনা দলটি।
তবে লিওনেল মেসির পর ডি মারিয়ার গোল। এই দুই তারকার গোলে ফ্রান্সের বিপক্ষে ৩৬ মিনিটেই ২-০ গোলে এগিয়ে গেল আর্জেন্টিনা।
পেনাল্টি থেকে গোল করে ২৩ মিনিটেই দলকে এগিয়ে নেন মেসি। আর ৩৬ মিনিটে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আনহেল ডি মারিয়া।
আজ রোববার (১৮ই ডিসেম্বর) কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সুযোগ পান ডি মারিয়া। ইনজুরি থেকে ফিরে ডি মারিয়া প্রমাণ করলেন তিনি দলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। চোটের কারণে নকআউট পর্বে একটি ম্যাচও খেলতে পারেননি।
ফাইনালে সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করেন ডি মারিয়া। ৩৬তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি তার করা গোলেও মেসির অবদান রয়েছে।
মাঝমাঠে মেসি ছোট্ট এক সুন্দর টোকায় পাস বাড়ান ডান দিকে, বল ধরে হুলিয়ান আলভারেস এগিয়ে গিয়ে সামনে বাড়ান মাক আলিস্তেরকে। তার পাস বক্সের বা দিকে ফাকায় পেয়ে কোনাকুনি শট নেন ডি মারিয়া। ঝাপিয়ে পড়া ফ্রান্সের লরিসকে ফাঁকি দিয়ে বল খুঁজে নেয় ঠিকানা।
ফাইনের খেলার ২৩ মিনিটে ডি মারিয়াকে ডি বক্সের মধ্যে ফ্রান্সের ফুটবলার উসমান দেম্বেল ফাউল করায় পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
অন্যদিকে আর্জেন্টিনা এনিয়ে ছয়বার বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলছে। ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লাতিন আমেরিকান দলটি। ১৯৩০, ১৯৯০ ও ২০১৪ সালে রানার্সআপ হয়েছিল আর্জেন্টিনা।
এরপর দীর্ঘদিন শিরোপা বঞ্চিত আর্জেন্টাইনরা। ৩৬ বছরের এবারে শিরোপা নিলো লিওনেল মেসির নেতৃত্বাধীন দলটি।