1. mumin.2780@gmail.com : admin : Muminul Islam
  2. Amenulislam41@gmail.com : Amenul :
  3. smking63568@gmail.com : S.M Alamgir Hossain : S.M Alamgir Hossain
বসন্তের আগমনে প্রকৃতিতে সৌন্দর্য মেলে ধরেছে ‘বনজুঁই’ - আলোরদেশ২৪
সংবাদ শিরোনাম :
জনবল সংকটে  কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স  দীর্ঘ ১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন সাবেক ছাত্রদল নেতা শেখ মোঃ আতিকুর রহমান কমলগঞ্জ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী যুবককে খুঁটির সাথে বেঁধে পিটিয়ে রক্তাক্ত শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে বিজিবির মতবিনিময় আ.লীগের পক্ষে ফেসবুক-ইউটিউবে কথা বললেই গ্রেপ্তার বললেন: আসিফ মাহমুদ ধলাই নদীর বাঁধ দ্রুত মেরামতের দাবিতে কমলগঞ্জে মানববন্ধন কমলগঞ্জে ১ দিনের  ফ্রিল্যান্সিং সেমিনার অনুষ্ঠিত  কমলগঞ্জ জামায়াতে ইসলামীর অগ্রসর কর্মীদের নিয়ে দিনব্যাপী শিক্ষা শিবির কমলগঞ্জে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উদযাপন কমলগঞ্জে প্রতিবন্ধী শিশুদের মধ্যে হুইল চেয়ার বিতরণ

বসন্তের আগমনে প্রকৃতিতে সৌন্দর্য মেলে ধরেছে ‘বনজুঁই’

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৫২ বার দেখা হয়েছে

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি:


বসন্তের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে সৌন্দর্য মেলে ধরেছে বনজুঁই। বসন্ত এলেই গ্রামাঞ্চলে মাঠে-ঘাটে, পথে প্রান্তরে প্রায়ই দেখা যায় থোকায় থোকায় ফুটে এসব ফুল। ফুলগুলো সহজেই নজর কেড়ে নিচ্ছে স্থানীয়দের। ফুল দিনে ফোটে এবং রাতে সৌরভ ছড়ায়। এটি বনজ ফুল হলেও সৌন্দর্যের কমতি নেই। দেখে মনেই হবে না এটি অবহেলিত কোনো ফুল। অনেকের কাছে ‘বনজুঁই’ ভাটফুল, ভাটিফুল, ঘেটুফুল বা ঘণ্টাকর্ণ নামেও পরিচিত। দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো চায়ের রাজ্য ক্ষেত মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার আনাচে কানাচে সৌন্দর্যের পসরা সাজিয়ে নজর কাড়ছে ফুলটি।

উইকিপিডিয়া থেকে জানা যায়, বনজুঁইয়ের বৈজ্ঞানিক নাম ‘ক্লেরোডেন-ড্রাম-ইনারমি’। ইনফরচুনাটাম প্রজাতির ফুল এটি। প্রায় ৪০০ প্রজাতির বনজুঁই পাওয়া যায় যাদের আদিনিবাস এশিয়া মহাদেশের বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার, পাকিস্তান ও শ্রীলংকায়। এটি গুল্মজাতীয় বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। গাছের প্রধান কাণ্ড খাড়া, সাধারণত ২-৪ মিটার লম্বা হয়। পাতা কিছুটা পানপাতার আকৃতির ও খসখসে। পাতা ৪-৭ ইঞ্চি লম্বা হয়। ডালের শীর্ষে পুষ্পদণ্ডে ফুল ফোটে। পাপড়ি সাদা, তাতে বেগুনি মিশেল থাকে। বনজুঁই সৌন্দর্যবর্ধন ছাড়াও নানা গুণে গুণান্বিত। ম্যালেরিয়া, চর্মরোগ ও পোকা-মাকড়ের কামড়ে খুবই উপকারী।

সড়জমিনে ঘুরে দেখা যায়, ছোট আকৃতির এ ফুলটির পুংকেশর, পাপড়ি, পাতা ও কাণ্ড নিখুঁত কারুকার্যে সাজানো। মাঝের পুংকেশর ফুলটির সৌন্দর্য যেন আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ফুলের পাপড়ি ঝরে পড়ার পর লালচে বৃতির মাঝখানে সবুজ ও বেগুনি বীজ দেখতে একেবারে নাকফুলের মতো। মনে হয় যেন কারুকাজ খচিত লালচে পাথরের মাঝে সবুজ অথবা গাঢ় বেগুনি চকচকে এক হীরার খণ্ড বসিয়ে রেখেছে। এ ফুলের মনমাতানো সৌন্দর্যে মুগ্ধ হবে যে কেউ। এর মিষ্টি গন্ধ মাতাল করে তোলে ফুলপ্রেমীদের মন। এছাড়া এর মনমুগ্ধকর সৌরভে প্রজাপতি, মৌমাছি, পিঁপড়াসহ নানা প্রজাতির কীট-পতঙ্গের আনাগোনা চোখে পড়ার মতো। এরা ফুলের সুগন্ধ, সৌরভে ব্যাকুল হওয়া ছাড়াও ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করতে আসে।

কমলগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দা পারভেজ আহমদ ও জাহেদ আহমেদ বলেন,‘একটা সময় ‘ভাটফুল, ভাটিফুল’ ফুল অনেক দেখা যেত। ক্ষেত-খামারের কিনারা, বাড়ির পাশে, গ্রামের রাস্তার ধারে, পাহাড়ের পাদদেশে, রেললাইনের ধারে ফোটে এ ফুল। ফুলের সুবাস অনেক মিষ্টি। দেখতেও অনেক সুন্দর। এই ফুল গাছকে আমাদের স্থানীয় ভাষায় ‘ভাটফুল, ভাটিফুল’ বলে। ’

কমলগঞ্জ সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক আলী মর্তূজা বলেন, ‘ঋতুরাজ বসন্তে দেখা যায় এ ফুল। এখানে-সেখানে নিজের সুন্দর রূপ ছড়িয়ে থাকে বনজুঁই(ভাটফুল, ভাটিফুল) ফুল। ফুলটি বাংলাদেশের আদি ফুল। দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ফুলের দেখা মেলে। নানা গুণে গুণান্বিত এ উদ্ভিদ।’

শেয়ার..

আরো সংবাদ পড়ুন...
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | আলোর দেশ ২৪ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Developed By Radwan Ahmed