1. mumin.2780@gmail.com : admin : Muminul Islam
  2. Amenulislam41@gmail.com : Amenul :
  3. smking63568@gmail.com : S.M Alamgir Hossain : S.M Alamgir Hossain
আগামী ২১ নভেম্বর মোহাম্মদ ইলিয়াছ এমপির মৃত্যু বার্ষিকি - আলোরদেশ২৪
সংবাদ শিরোনাম :
দোয়ারাবাজারে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে জাপা প্রার্থী নাজমুল হুদার মতবিনিময় সহস্র নেতাকর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন উপাধ্যক্ষ ড. মোঃ আব্দুস শহীদ মৌলভীবাজারে ৪টি সংসদীয় আসনে ৩২ জনে মনোনয়নপত্র দাখিল সুনামগঞ্জে ৫টি সংসদীয় আসনে ২১ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করলেন কমলগঞ্জে মাকে ডাঃ দেখিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না পাকিস্তানে নাচের ভিডিও ভাইরাল হওয়াতে মেয়েকে হত্যা করল মৌলভীবাজার-৪ নৌকার মাঝি উপাধ্যক্ষ ড. মোঃ আব্দুস শহিদ কে বরণ করল নেতাকর্মীরা রাখাল নৃত্যের মধ্য দিয়ে কমলগঞ্জে ১৮১তম মহারাস উৎসব শুরু ৭ম বারের মতো নৌকার মাঝি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব উপাধ্যক্ষ ড. মোঃ আব্দুস শহিদ সিলেট বিভাগে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত

আগামী ২১ নভেম্বর মোহাম্মদ ইলিয়াছ এমপির মৃত্যু বার্ষিকি

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২০
  • ৭২৪ বার দেখা হয়েছে

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি।।

মোহাম্মদ ইলিয়াছ, কেউ ভুলে না, কেউ ভুলে। তবু নভেম্বর এলেই বেশি করে মনে পড়ে তাঁরন কথা। ১৯৮৭ইং সালের নভেম্বর মাসের ২১ তারিখে পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন সালাম, রফিক, বরকত, জব্বারের সহযোদ্ধা বায়ন্নোর ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর কিংবদন্তী রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ ইলিয়াছ।

রাষ্ট্রভাষা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা ও সংগঠক আওয়ামীলীগের সাবেক এই প্রেসিডিয়াম সদস্য তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে প্রশ্নাতিরিক্ত সৎ, নির্লোভ ও ত্যাগী হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন। ঢাকা বিশ্বদ্যিালয় ছাত্র ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াছ ছাত্র জীবনে অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। তিনি ১৯২৯ সালে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার এক নিভৃত পল্লী খুশালপুরে জন্মগ্রহণ করে বাঙ্গালীর স্বাধিকার আন্দোলনে সক্রিয় সম্পৃক্ত থেকে গোটা জাতির উজ্জ্বল নক্ষত্রে পরিণত হয়েছিলেন।

মোঃ তাহির ও জুবেদা খাতুনের আট সন্তানের মধ্যে সবার বড় ইলু মিয়া অর্থাৎ মোহাম্মদ ইলিয়াছ তৎকালীন কমলগঞ্জ এম.ই. স্কুলে নবম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়ার পর ১৯৪৭ সালে মৌলভীবাজার গর্ভণমেন্ট স্কুল থেকে মেট্রিক(এসএসসি) পরীক্ষায় ১ম বিভাগে ৪র্থ স্থান লাভ করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ঢাকা কলেজ থেকে ১ম বিভাগে ৬ষ্ঠ স্থানে আইএসসিতে উর্ত্তীণ হন।তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিতে অনার্স নিয়ে ১ম বিভাগে এমএসসি পাশ করে স্বর্ণপদক লাভ করেন। সে সময় থেকেই চা শ্রমিকসহ মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের রাজনীতিতে সক্রিয় হন।

বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনে শহীদ রফিক, বরকত, জব্বারের সহযোদ্ধা মোহাম্মদ ইলিয়াছ ছেষট্টির ছয় দফা, উনসত্তরের গণ আন্দোলনে সক্রিয় সাহসী ভূমিকা রাখেন। বঙ্গবন্ধুর আহবানে আওয়ামীলীগে যোগ দিয়ে সত্তরের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ভোটে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য(এমএনএ) নির্বাচিত হন। পরে একাধিকবার কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল নির্বাচনী এলাকায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৭ সালে সারাদেশে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তিনি যখন সারা দেশ চষে বেড়াচ্ছেন ঠিক সে বছরের নভেম্বর মাসের এদিন রাত পৌণে দশটায় ঢাকা এমপি হোস্টেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক পূত্র ও পাঁচ কন্যা ছাড়া সহায় সম্পদ কিছুই রেখে যেতে পারেন নি ।   আজ কেউ ভূলে, কেউ ভূলেনি ক্ষণ জন্মা এ মহা পুরুষকে। যদিও স্থানীয় আওয়ামীলীগের কোন কোন সভা-সমাবেশে নেতাকর্মীরা তাঁকে মূহুর্তকাল স্মরণ করে। আমরা যদি একজন গুণীজনকে ইচ্ছা অনিচ্ছায় ভূলে যেতে চাই তবে একদিন ভূলেই যাবো আর এভাবে হয়তো বাঙালীর স্বাধিকার আদায়ের এ অগ্রজ পথিক ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে যাবেন। এভাবেই আমরা নিজেদের অস্তিত্বকেই হয়তো কোনদিন হারিয়ে ফেলবো। তবু জয়তু মোহাম্মদ ইলিয়াছ।

শেয়ার..

আরো সংবাদ পড়ুন...
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | আলোর দেশ ২৪ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Developed By Radwan Ahmed