কমলগঞ্জে তথ্য অধিকার আইন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
কমলগঞ্জ(মৌলভীবাজার)প্রতিনিধি।।
মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার বড়চেগ গ্রামের আরিনা বেগম ইউপি সদস্য স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করার কারনে এখন প্রাণ নাশের হুমকিতে ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
জানা যায় ,উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের বড়চেগ গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে রহিমপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাহমুদ আলীর সাথে একই গ্রামের টনু মিয়ার মেয়ে আরিনা বেগমের ধর্মীয় ও সামাজিক রীতিনীতি মেনে প্রায় ১৫ বছর পূর্বে বিবাহ হয়।
বিবাহিত জীবনে তাদের সংসারে কোন সন্তানাদি জন্ম গ্রহন করেনি। বিয়ের পর থেকে স্বামী করিম ও তার পরিবার বাবার বাড়ী থেকে যৌতুক হিসাবে টাকা এনে দেয়ার জন্য চাপ প্রযোগ সহ শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে। আরিনা স্বামীর চাহিদা অনুযায়ী যৌতুকের টাকা এনে দিতে না পারায় শারীরিক নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এক পর্যায়ে বাবার বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়। বাবার বাড়ীতে অবস্থান করে আরিনা স্বামীর বিরুদ্ধে মৌলভীবাজারস্থ জুডিশিয়াল ৩নং আমলী আদালতে পিটিশন মামলা দায়ের করে মামলা নং ৬০/২২(কমল) দায়ের করি। মামলা দায়ের করার পর থেকে বিবাদী মোবাইল ফোনে মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে তাকেন এবং মামলা তুলে না নিয়ে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করতে থাকে। এমতাবস্থায় প্রাণের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। এরিমধ্যে গত ২৫ মার্চ বিকালে বড়চেগ গ্রামের আছকন আলী,ছবিরুন বেগম,আপ্তাব মিয়া ও চেরাগ মিয়া বাড়ী সম্মুখে আমাকে একা পেয়ে মামলা তুলে নেয়ার কথা বললে এতে সম্মত না হওয়া আমাকে মারধর করার জন্য উদ্দত্য হলে চিৎকার চেচামেচি করলে স্বাক্ষীরা এসে আমাকে উদ্ধার করেন।
এই ঘটনায় প্রাণের ভয়ে কমলগঞ্জ থানায় আরো একটি অভিযোগ দায়ের করি। আলাপকালে আরিনা বেগম বলেন,আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগতেছি।
যে কোন সময় আমার পাষন্ড স্বামী আমাকে প্রাণে মেরে ফেলতে পারে,তাই তাকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি।
অভিযুক্ত মাহমুদ আলীর সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন যে, আরিনা তার বোন /ভাগিনাদের নিয়ে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। তারই অংশ হিসাবে আমার রিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এর জবাব আমি আদালতের মাধ্যমেই দিব।