1. mumin.2780@gmail.com : admin : Muminul Islam
  2. Amenulislam41@gmail.com : Amenul :
  3. smking63568@gmail.com : S.M Alamgir Hossain : S.M Alamgir Hossain
কমলগঞ্জে ১৯৭১ সালে ৩ এপ্রিল ৫৮ চা শ্রমিক হত্যা - আলোরদেশ২৪
সংবাদ শিরোনাম :
কমলগঞ্জে জমির নিয়ে দু“পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা, দুর্ঘটনার আশংকা নিজ অর্থায়নে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করলেন ইউএনও জয়নাল আবেদীন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি ৩ ভাগে বিভক্ত  মাওঃ মূফতী শাহ্ মোঃ মোশাহিদ আলী আজমী ছাহেব রহ. এর সংক্ষিপ্ত জীবনী কমলগঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকাল কমলগঞ্জে মবশ্বির আলী চৌধুরী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া সাবেক কৃষি মন্ত্রী উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদের দখলে থাকা লাউয়াছড়ার জায়গা উদ্ধার  কিশোরগঞ্জের ঈদে মিলাদুন্নবীর মিছিলে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ৩০ কমলগঞ্জে বসত বাড়ি ভাংচুর,থানায় অভিযোগ

কমলগঞ্জে ১৯৭১ সালে ৩ এপ্রিল ৫৮ চা শ্রমিক হত্যা

  • প্রকাশিত : রবিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২২
  • ২৬৯ বার দেখা হয়েছে

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি।।

কমলগঞ্জে প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যা

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের রহিমপুর ইউনিয়নের দেওড়াছড়া চা বাগানে একসঙ্গে ৫৮ জন নিরীহ শ্রমিককে হত্যা করা হয়। ১৯৭১ইং সালের ৩ এপ্রিল এই গণহত্যা চালানো হয়।

জানা যায় যে, দেওড়াছড়া চা বাগানের ম্যানেজার ছিলেন একজন বিহারী। ২৫শে মার্চের কিছু আগে ম্যানেজার বাগান ছেড়ে চলে যান। ২৫ শে মার্চের পর অনেক কর্মচারীও বাগান ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। বাগানে শুধু রয়ে যান অনাহারে অর্ধাহারে নির্জীব দেহের শ্রমিকরা। ১৯৭০ইং সালের নির্বাচনে ভোট না দেওয়ায় মৌলভীবাজারের তখনকার মুসলিম লীগ নেতা এসে তাদের তখন নিয়মিত ভয় দেখাতেন। পরে একসঙ্গে ৫৮ জন চা শ্রমিককে হত্যা করে পাকসেনারা।

৩ এপ্রিল চা বাগানে প্রবেশ করে পাক হানাদার বাহিনী ৭০ জন চা শ্রমিককে ধরে ভাইয়ের সামনে ভাই, পুত্রের সামনে পিতা, পিতার সামনে পুত্রকে বিবস্ত্র করে তাদের পরনের কাপড় দিয়ে প্রত্যেকের হাত বেঁধে এক সারিতে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে। ৭০ জনের মধ্যে ১২ জন চা শ্রমিকের মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান।

২০১৪ইং সালের ডিসেম্বর মাসে রহিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা ইফতেখার আহমেদ বদরুলের হস্তক্ষেপে ও দেওড়াছড়া চা বাগান কর্তৃপক্ষের সহযোগীতায় দেওড়াছড়া চা বাগানের বধ্যভূমির স্থান চিহ্নিত করা হয়।  ইউনিয়নের নিজস্ব অর্থায়নে এখানে একটি বধ্যভূমি নির্মাণ করা হয়।  জায়গাটিতে একটি স্থাপনা তৈরি হলেও সেটা রয়েছে অনেকটা অরক্ষিত।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী  কর্মকর্তা জনাব আশেকুল হক বলেন যে, বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথা স্মৃতিগুলো সংরক্ষণে খুবই আন্তরিক। ২০১৫-১৬ইং অর্থবছরে দেওড়াছড়া চা বাগানে গণহত্যার স্থানকে যথাযথ সংরক্ষণের মাধ্যমে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক চিফ হুইপ আলহাজ্ব উপাধ্যক্ষ ড. মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি মহোদয়ের সহযোগিতায় মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে একটি প্রকল্প প্রেরণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদনের অপেক্ষায়।

শেয়ার..

আরো সংবাদ পড়ুন...
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | আলোর দেশ ২৪ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Developed By Radwan Ahmed