1. mumin.2780@gmail.com : admin : Muminul Islam
  2. Amenulislam41@gmail.com : Amenul :
  3. smking63568@gmail.com : S.M Alamgir Hossain : S.M Alamgir Hossain
কমলগঞ্জে নববধূর দিন কাটছে বারান্দা ও উঠানে - আলোরদেশ২৪

কমলগঞ্জে নববধূর দিন কাটছে বারান্দা ও উঠানে

  • প্রকাশিত : বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৩৭১ বার দেখা হয়েছে


স্বামীর হাতে খুন হন নববঁধূ তামান্না
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি::

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে প্রেমের সম্পর্কে বাড়িতে এনে বিয়ে, দুই মাস সংসারের পর অত্যাচার শুরু ঘরদরজা বন্ধ করে সবাই পলাতক, বারান্দা ও উঠানে দিন কাটছে নববধূর। উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের কান্দিগাঁও গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের অভিযোগে বুধবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায় যে, কান্দিগাঁও গ্রামের কামরুজ্জামানের বাড়ির দু’টি ঘর তালাবদ্ধ। পশ্চিম ঘরের বারান্দায় ব্যাগের মধ্যে কাপড় চোপড় নিয়ে হতাশাগ্রস্ত নববধূ ফরাজানা বেগম। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে আজাদুর রহমান (২৫) একই গ্রামের আহমদ আলীর কন্যা ফারজানা বেগম (১৯) কে ২০শে জুলাই রাতে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। তারপর রাতেই দু’পক্ষের পঞ্চায়েত মিলে তাদের বিয়ে হলেও কাবিন সম্পন্ন হয়নি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য কামরুজ্জামান সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ২০শে জুলাই রাতে দু’পক্ষের পঞ্চায়েতের উপস্থিতিতে তাদেরকে বিয়ে পড়ানো হয়। পরবর্তীতে বিরোধ দেখা দিলে ২১শে আগস্ট আমার সভাপতিত্বে দু’পক্ষের পঞ্চায়েতদের নিয়ে সালিশ বৈঠক বসে। উপস্থিত সালিশগণের সিদ্ধান্ত মতে এক লক্ষ এক হাজার টাকা কাবিননামা সাব্যস্তক্রমে পরদিন আদমপুর বাজারে কাজী অফিসে গিয়ে নিকাহ রেজিষ্ট্রারী করার কথা। পরে কাবিন না হওয়ায় বিরোধ দেখা দেয় এবং বিষয়টি আমি চেয়ারম্যান সাহেবকে জানিয়েছি। তবে গত তিন দিন ধরে বাড়ির বারান্দায় মেয়েটি একা থাকার কারণে পার্শ্ববর্তী বাড়িতে আপাতত থাকার জন্য ব্যবস্থা করে দিয়েছি।

নববধু ফারজানা বেগম বলেন যে, দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কের পর গত ২০শে জুলাই রাতে আজাদুর রহমান আজাদ তার বাড়িতে নিয়ে আসে। তারপর দুই পক্ষের পঞ্চায়েত মিলে আমাদের বিয়ে পড়ান। কিছুদিন যাওয়ার পর থেকেই আমার স্বামী চুল টেনে এবং স্বামীর বড় ভাই ও ভাইয়ের বৌ আমাকে নির্যাতন শুরু করে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে। তিন দিন ধরে তারা আমাকে ঘর থেকে বের করে দরজা, জানালা বন্ধ করে বাড়ির সবাই চলে যায়। আমি অসহায় হয়ে ঘরের বারান্দায় ও উঠানে দিন কাটাই।

আজাদুর রহমানের মামাতো ভাই সালাহ্উদ্দীন, কান্দিগাঁও গ্রামের পঞ্চায়েত নেতা মো. হান্নান বলেন যে, আজাদ মেয়েটিকে তার বাড়িতে আনার পর হাফেজ খোরশেদ আলী তাদের বিয়ে পড়িয়ে দেন। বিয়ের উকিল হিসাবে ছিলেন হামিদুর রহমান, ইমদাদুল হক ও মহব্বত আলী। তবে বর্তমানে মেয়েটির উপর তারা অমানবিক আচরন শুরু করেছে। এখন মেয়েটি যেভাবে আছে তা খুবই ঝুঁকির মধ্যে।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে চেয়ে আজাদুর রহমানকে পাওয়া না গেলেও আদমপুর বাজারে তার বড় ভাই নূর রহমান বলেন যে, মেয়েটা নিজে ইচ্ছে করে বাড়িতে আসে। তারপর মেয়েকে আমার ভাইয়ের সাথে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনদিন ধরে আমার ভাই নিখোঁজ রয়েছে।

এ ব্যাপারে আদমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদাল হোসেন বলেন যে, বিষয়টি আপনারা সরেজমিনে গিয়ে বাস্তবতা বুঝে আসেন।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সিফাত উদ্দীন বলেন যে, বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবেন।

শেয়ার..

আরো সংবাদ পড়ুন...
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | আলোর দেশ ২৪ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Developed By Radwan Ahmed