রমনা বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী গ্রেপ্তার
অনলাইন ডেস্ক নিউজ::
দেশের জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের জন্য আজ ৪ঠা অক্টোবর মঙ্গলবার বেলা ২টা থেকে সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। হঠাৎ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েন সিলেট বিভাগের মানুষ। পূর্ব প্রস্তুতি না থাকায় বাসাবাড়িতে পানির তীব্র সংকটসহ নানামুখি দুর্ভোগ দেখা দেয়।
বিদ্যুৎ না থাকায় সিএনজি পাম্পগুলো গ্যাস সরবরাহ করতে পারছেনা।
তবে বিভিন্ন এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা তীব্র যানজট দেখা যায় এবং তীব্র গরমে মানুষের অবস্থা বেশ নড়বড়ে হয়ে যায়।
রাত ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়নি।
তবে সরেজমিন দেখা গেছে যে, দেশের চার বিভাগের সঙ্গে সিলেটেও বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দেওয়ায় জেলার সিএনজি পাম্পগুলোর সামনে যানবাহনের দীর্ঘ সারির কারণে বেলা ২টার পর থেকে জেলা শহরে তীব্র যানজট দেখা দেয়। এ সময় একই স্থানে যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে গন্তব্যগামীদের।
সিলেট নগরের শিবগঞ্জ এলাকার বিরতি গ্যাস ও পেট্রোল পাম্পের সামনে বেলা ২টা থেকে দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়েও গ্যাস না পেয়ে ফিরে গেছেন সিএনজি অটোরিকশা অনেক চালকরা। তারা অনেকের কাছে থেকে জানাযায় যে, দুইটায় এসেছিলাম। চারটা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও বিদ্যুৎ না আসায় গ্যাস নিতে পারিনি পাম্প থেকে। তাই আমরা ফিরে যাচ্ছি।’
একই অভিযোগ জানিয়ে চালকরা বলেন, ‘গ্যাস না পেয়ে গাড়ি বন্ধ করে গ্যারেজে রেখে বাড়ি চলে যাব।
তবে বাড়ি ফেরার সময় মীরাবাজারের পেট্রোল পাম্পের সামনে যানজটে টানা দুই ঘণ্টা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় আটকা ছিলেন সিলেট শহরতলীর খাদিমপাড়া ইউনিয়নের দেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘প্রায় দুই ঘণ্টা একই জায়গায় আটকা ছিলাম জ্যামে। অটোরিকশা এক ইঞ্চিও এগুতে পারেনি। পরে নেমে হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফিরেছি
এ বিপর্যয়ের কারণে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন নগর এলাকার বাড়িঘরের বাসিন্দারা। পূর্ব প্রস্তুতি না থাকায় কেউ পানি জমা করে রাখেননি। এতে করে পানির তীব্র কষ্ট পোহাতে হচ্ছে তাদের। নগরের মধুশহিদ এলাকার এক ব্যবসায়ী বলেন যে,
আগে জানা ছিল না। কারেন্ট যাওয়ার পর ভেবেছি চলে আসবে। এখন তো বিপদে পড়েছি। খাবার পানি তো দূরের কথা, ওজু করার পানিও নেই।’ তাদের বাসায় সাপ্লাইয়ের পানি আসে বিকেলে জানিয়ে তিনি বলেন যে, ‘বিদ্যুৎ বিকেলের আগেই চলে যাওয়ায় বেশি সমস্যায় পড়ে গেছি আমরা।
তবে বিদ্যুৎ না থাকায় অনেকে এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারছেন না। কোথাও বিদ্যুৎ না থাকায় বুথে টাকা থাকার পরও তোলা যাচ্ছে না। আবার কোথাও জেনারেটর চললেও ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হওয়ায় টাকা তুলতে পারছেন না অনেকে।
বেশিরভাগ জায়গায়ই ইন্টারনেট সংযোগে সমস্যা দেখাচ্ছে। এতে মানুষের কষ্টে অবকাশ নেই।