1. mumin.2780@gmail.com : admin : Muminul Islam
  2. Amenulislam41@gmail.com : Amenul :
  3. smking63568@gmail.com : S.M Alamgir Hossain : S.M Alamgir Hossain
বাগেরহাট রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু - আলোরদেশ২৪

বাগেরহাট রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু

  • প্রকাশিত : বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ১৭৬ বার দেখা হয়েছে


অনলাইন ডেস্ক নিউজ ::

দীর্ঘ ১ মাস বন্ধ থাকার পর আজ ১৫ই ফেব্রুয়ারি বুধবার পুনরায় চালু হতে যাচ্ছে
দেশের বৃহৎ মেগা প্রকল্পের মধ্যো একটি ভারত বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে নির্মিত বাগেরহাট রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। পরীক্ষামূলক ভাবে ১৭ ডিসেম্বর জাতীয় গ্রীটে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়ে মাত্র ৬৬০ ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেই কয়লার সংকটে বন্ধ হয়ে যায় মেগা প্রকল্পটি।

প্রকল্প সূত্র থেকে জানা গেছে এল সি সংকট জটিলতার কারণে সময় মতো চাহিদা অনুযায়ী কয়লা না থাকায় গত ১৪ জানুয়ারি ভারত বাংলাদেশ যৌথ পরিচালনায় দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বৃহৎ রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে আরও বলেছেন কেন্দ্রটি চালু রাখতে প্রতিদিন প্রয়োজন ৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা অথচ গত ৯ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৩০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে এসেছে যা দিয়ে চলবে মাত্র ৬ দিন।
প্রকল্প কর্মকর্তারা আরো জানিয়েছেন ১৮ ফেব্রুয়ারি আরো ৫০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা আসার কথা রয়েছে।
তবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দুইটি ইউনিট থেকে প্রতিদিন ১হাজার ৩২০মেগা ওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উৎপাদন সচ্ছল রাখতে হলে প্রতিনিয়ত
৫ হাজার মেট্রিকটন কয়লা অর্থাৎ মাসে দেড় লাখ মেট্রিক টন কয়লা অত্যাবশ্যক।
আর তা না হলে সেই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগের বৃহৎ প্রকল্পটি জাতীয় গ্রিটে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে ব্যর্থ হবে।

এদিকে প্রকল্পটির ঊর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন জুন থেকে দ্বিতীয় ইউনিটে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানির ( বিআইএফপিসিএল ) উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বলেন কয়লা আসায় বুধবার থেকে আবারও বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু হচ্ছে। তবে প্রকল্পটি আপাতত চালু হলেও ৩০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা দিয়ে মাত্র ছয় দিন কেন্দ্রটির সচল রাখা সম্ভব হবে। পরে ৫০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা এলে আরও ১০ দিন চালানো যাবে। ইন্দোনেশিয়া থেকে একটি জাহাজ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির যেটিতে ভিড়তে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগে।
কেন্দ্রটিতে কয়লা মজুদের সক্ষমতা রয়েছে তিন মাসের। নিয়ম অনুযায়ী এক মাসের কয়লা মজুদ রাখার বাধ্যবাধকতা থাকলেও ডলার সংকটে এতদিন কেন্দ্রটিতে কয়লা মজুদ রাখা সম্ভব হয়নি। তবে প্রকল্প ইনচার্জ বলেছেন আগামীতে এ ধরনের কোন সমস্যা কেন্দ্রটিতে হবে না। ভারত বাংলাদেশ যৌথ পরিকল্পনায় এই প্রকল্পটি যাতে সামনের দিনগুলিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে পিছিয়ে না থাকে সেই জন্য আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে কয়লা আমদানি করে সর্বক্ষণ মজুদ রাখার চেষ্টা করব কেন্দ্রটিতে।

শেয়ার..

আরো সংবাদ পড়ুন...
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | আলোর দেশ ২৪ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Developed By Radwan Ahmed