1. mumin.2780@gmail.com : admin : Muminul Islam
  2. Amenulislam41@gmail.com : Amenul :
  3. smking63568@gmail.com : S.M Alamgir Hossain : S.M Alamgir Hossain
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত - আলোরদেশ২৪

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ২০৫ বার দেখা হয়েছে



অনলাইন ডেস্ক নিউজ


একুশ তুমি এসেছ পথের ধারে অপেক্ষমান দাঁড়িয়ে থাকা পিতৃহারা শিশুটির চোখের জলে।
১৯৫২ সাল ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের বিজয় উল্লাস এর প্রভাত ফেরী নিয়ে আজকের দিনে খুলনার লাখজনতা জড়ো হয়েছে খুলনার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার শহীদ হাদীস পর্কে জাতির সূর্যসন্তানদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর বিনম্র শ্রদ্ধা ও পুষ্পার্ঘ নিবেদন করতে।
শহীদ বেদীতে হাজির হয়েছেন প্রথম প্রহর রাত বারোটা এক মিনিটে পুষ্পার্ঘনিবেদন করেছেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার জিল্লুর রহমান চৌধুরী কেএমপি পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান ভূঁইয়া জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন এবং পাশাপাশি রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগ-বিএনপি ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন খুলনা শিল্পকলা উদীচী সহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলি একুশে ফেব্রুয়ারীর সিউরে ওঠা সেই গান আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি! সমবেত কণ্ঠে গাইতে গাইতে নগ্ন পায়ে শহীদদের প্রতি পুষ্পার্ঘ নিবেদন করেছেন।

আর ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি মহান মাতৃভাষা দিবস টি আজ একাত্তর তম বছরে পদার্পণ করেছে।
তবে দিবসটি আজ শুধু আমাদের দেশেই সীমাবদ্ধ নয়। এই গুরুত্বপূর্ণ মহান মাতৃভাষা দিবস টিকে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় জাতিসংঘের শিক্ষাবিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো) মহান একুশের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গত কয়েক বছর ধরে দিবসটি পালিত হচ্ছে।বাঙালি জাতির জন্য এই দিবসটি হচ্ছে চরম সুখ বেদনার অন্যদিকে মায়ের ভাষা বাংলার অধিকার আদায়ের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত। যেকোনো জাতির জন্য সবচেয়ে মহৎ ও দুর্লভ উত্তরাধিকার হচ্ছে মৃত উত্তরাধিকারের মরতে জানা ও মরতে পারার উত্তরাধিকার ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি শহীদরা জাতিকে সে মহৎ ও দুর্লভ উত্তরাধিকার দিয়ে গেছেন।

তাছাড়া ১৯৫২ সালের এদিনে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বাংলার তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ও ছাত্র যুব সমাজ সহ সর্বস্তরের মানুষ সে সময়ের শাসকগোষ্ঠীর চোখ রাঙানো প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসে। এবং মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের দুর্বার গতি পাকিস্তানি শাসকদের শঙ্কিত করে তোলা সেদিন ছাত্র জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম জব্বার রফিক বরকত সহ আরো অনেকে শহীদ হন।

সকল ত্যাগ ও তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে সমগ্র বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তারই তাৎপর্যে ইতিহাস বলছে ।
তাই দিবসটি আমাদের জাতীয় জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন।
১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের পর থেকেই পাকিস্তানের পশ্চিমা অঞ্চলের শাসকগোষ্ঠী পূর্বাঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি কে তাদের অধীন করে রাখার পরিকল্পনা করেছিল। এর অংশ হিসেবে প্রথমেই তারা বাঙ্গালীদের ভুলিয়ে দিতে চেয়েছিল তাদের সাংস্কৃতি ঐতিহ্যকে। সংখ্যাগরিষ্ঠের ভাষাই হওয়া উচিত রাষ্ট্রভাষা এ বাস্তব সত্য অস্বীকার করে বাংলার পরিবর্তে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিল পাকিস্তানিরা।

উদ্দেশ্য ছিল মাতৃভাষা কেড়ে নিয়ে বাঙালির জাতিসত্তাকে পঙ্গু করে দেওয়া।
কিন্তু এর বিরুদ্ধে এক পর্যায়ে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতার উপর চালানো হয় গুলি। শহীদ হয় বরকত সালাম রফিক জব্বার সহ অনেকে। বায়ান্নর ২১ শে ফেব্রুয়ারি বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের যোগ করে নতুন মাত্রা। এ সময় সকল শহীদদের রক্ত তাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে প্রেরণা যোগায়। এরপরে ইতিহাস পর্যায়ক্রমে আন্দোলনের ৫৪ এর নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয় আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন ৬২ শিক্ষা আন্দোলন ৬৬ স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান ৭০ এর জাতীয়ম নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়লাভ এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠা লাভ করে বাঙালির স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ।

আর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা সর্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিজয় অর্জন করার পূর্বে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের সূত্রই ছিল স্বাধীনতা সাধিকা অর্জনের ক্ষেত্রে আন্দোলনের সূতীকা ঘর। তবে ৫২ ভাষা আন্দোলন দীর্ঘ ৭১ টি বছর পেরিয়ে গেলেও আজও বাঙালি শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করে নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবস টি পালন করে আসছে।

তারই প্রত্যয় আজ খুলনার বিভিন্ন সংগঠন রাজনৈতিক সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদা পালনের লক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচির আলোকে খুলনায় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
আজ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে বাদ জোহর বা সুবিধামত সময় সকল মসজিদে সকল শহীদদের রুহের মাগফিরাত দেশের শান্তি কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া মাহফিল এবং মন্দির গির্জা ও অন্যান্য উপাসনালয় বিশেষ প্রার্থনা আয়োজন করা হয়েছে। বিকেল ৪ টায় বয়রাস্ত বিভাগীয় গণ গ্রন্থাগার প্রাঙ্গনে অমর একুশের বইমেলা মঞ্চে বঙ্গবন্ধু ও ভাষা আন্দোলন বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সন্ধ্যা ৬ টায় শহীদ হাদিস পার্কে খুলনা জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে ভ্রাম্যমান চলচ্চিত্র প্রদর্শন একুশে পোস্টার প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

শহীদ হাদিস পার্কে সন্ধ্যা সাড়ে
৬ টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

এবং দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে স্থানীয় পত্রিকা গুলো নিজ ব্যবস্থাপনায় বিশেষ নিবন্ধন ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে।
দুপুর ২ টায় খুলনা মুজগন্নি শিশু বিকাশ কেন্দ্রে সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।
সকাল ৯ টায়নগর ভবনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও শিশুদের চিত্রাংকন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শেয়ার..

আরো সংবাদ পড়ুন...
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | আলোর দেশ ২৪ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Developed By Radwan Ahmed