1. mumin.2780@gmail.com : admin : Muminul Islam
  2. Amenulislam41@gmail.com : Amenul :
  3. smking63568@gmail.com : S.M Alamgir Hossain : S.M Alamgir Hossain
খুলনায় চিকিৎসকদের কর্মবিরতি স্থগিত - আলোরদেশ২৪

খুলনায় চিকিৎসকদের কর্মবিরতি স্থগিত

  • প্রকাশিত : রবিবার, ৫ মার্চ, ২০২৩
  • ১৯১ বার দেখা হয়েছে


অনলাইন ডেস্ক নিউজ ::

খুলনা চিকিৎসকদের কর্ম বিরতির কর্মসূচী অবসান ঘটাতে বিভিন্ন পর্যায়ে দফায় দফায় বৈঠকে অক্ষমতা প্রকাশ করলেও অবশেষে কেন্দ্রীয় নেতা এস এম কামাল ও খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত এক বিশেষ বৈঠকে চিকিৎসকদের বিভিন্ন দাবি দাবার মধ্য দিয়ে ৭ দিনের জন্য কর্মবিরতি স্থগিত করেছেন তারা।

এদিকে খুলনায় চিকিৎসকদের টানা ৪ দিনের কর্ম বিরতির রোষানলে জীবন হারিয়েছে ২৯ জন অসুস্থ রোগী।

ঘটনার বিবারনে জানাজায় গত ২০২২ সালে খুলনার শেখ শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক ডাঃ শেখ নিশাত আব্দুল্লাহর নিকট শিশু অথৈকে চিকিৎসার জন্য শরণাপন্ন হলে শিশু অথৈকে চিকিৎসার একপর্যায়ে তার মা নুসরাত আরা কে ডাক্তার নিশাত আব্দুল্লাহর যৌন লালসায় আসক্তি হওয়ার বিষয়টি আচ করতে পেরে ডাক্তার নিশাত আব্দুল্লাহর থেকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করার কারণে শিশু ও অথৈর চিকিৎসার অবহেলা করে ডাক্তার নিশাদ আব্দুল্লাহ।
একপর্যায়ে অথৈর হাতের অবস্থা ক্রমান্বয়ে অবনতির দিকে যাওয়ার কারণে শিশুটির হাতের একটি আঙ্গুল হারায়। আর তখন অথৈর মান নুসরাত আরা কোন উপায়ান্ত না পেয়ে ডাক্তার নিশাত আব্দুল্লাহর কাছে ছুটে গিয়ে বলে আমার মেয়ের তো হাতের একটি আঙ্গুল একেবারেই অকেজ হয়ে গেছে।

এবং অন্য আরেকটিতেও পচন ধরেছে বলে অভিযোগ করলে ডাক্তার নিশাত আবদুল্লাহু নুসরাত আরা কে তার ব্যক্তিগত চেম্বারে আসার জন্য বল্লে তার ক্লিনিক বা চেম্বারে যেতে অপারগতা স্বীকার করলে অথৈর মা নুসরাত আরার মোবাইলে কুপ্রস্তাব দিয়ে বিভিন্ন আঙ্গিকে গভীর রাত্রে ও মেসেজ প্রেরণ করে ডাক্তার আব্দুল্লাহ।

ওই শিশুর মা সাতক্ষীরা পুলিশ এএসআই মোঃ নাঈমুজ্জামান এর স্ত্রী।

অপর দিকে ডাক্তার নিশাত আব্দুল্লাহ অভিযোগ করে বলেছেন গত ২২ ফেব্রুয়ারি অথৈর বাবা সাতক্ষীরা সদর থানার এএসআই নাঈম ও তার সহযোগীদের নিয়ে গভীর রাতে আমার ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে আমাকে মারধর ও অপারেশনের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ভাঙচুর করে বলে ডাক্তার নিশাত আব্দুল্লাহ সোনাডাঙ্গা মডেল থানা বরাবর এএসআই নাঈম ও তার স্ত্রী নুসরাত আরা সহ আরো অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

তবে বিষয়টি অথৈর মা নুসরাত আরা বলেছেন অন্যরকম তথ্য সে বলছেন আমাকে কূপ্রস্তাব দেয় আমি রাজি না হওয়ার কারণে ডাক্তার আব্দুল্লাহ আমাকে নানান ভাবে উত্ত্যক্ত করলে আমি একপর্যায়ে তাকে তার চেম্বার থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হই। তারপর থেকেই সে আমার উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার সন্তানের আঙ্গুল একটি নষ্ট করে দিতেও দ্বিধাবোধ করে নাই।

অথচ সত্য ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য ন্যাক্কারজনক এই অপহিংসায় লিপ্ত হয়েছে ডাক্তার নিশাদ আব্দুল্লাহ সাথে খুলনা বি এমএ অ্যাসোসিয়েশনের অন্যান্য কর্মকর্তারাও।
আর তারই জের ধরে চিকিৎসকরা ছাড়া খুলনা ব্যাপী কর্মবিরতির ঘোষণা করে অসহায় রোগীদের জন্য জীবন মরণ সন্ধিক্ষণে ফেলেছে। এবং আজকের দিন পর্যন্ত চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ও অবহেলার কারণে ২৯ জন রোগী চিকিৎসা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে।

ডাক্তার নিশাত আব্দুল্লার অপকর্মের বিষয়টি নিয়ে আমি যথাসম্ভব চেষ্টা করে বিভিন্ন মহলে ধরনা ধরি এবং অবশেষে খুলনা প্রেসক্লাবে গিয়ে সাংবাদিকদের নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে তথ্যটি তুলে ধরার পরে বিষয়টি সারা দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হওয়ার পরে খুলনার সকল চিকিৎসকরা একত্রিতভাবে ঘটনাটি অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য আমাকে এবং আমার স্বামীকে ভিকটিম করে মামলা দায়ের করে খুলনা সোনাডাঙ্গা মডেল থানায়।

অতঃপর গত ১মার্চ থেকে খুলনার সকল চিকিৎসকরা কনির্দিষ্টকালের জন্য কর্ম বিরতি কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এভাবে খুলনার চিকিৎসকদের কর্ম বিরতির দুই দিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন বি এম এর কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতাদের দৃষ্টিগোচর হলে তাদের উচ্চ পর্যায়ের পাঁচ জন কর্মকর্তা একটি কমিটি গঠন করে খুলনায় এই সমস্যার সমাধান করার জন্য এসেও দফায় দফায় মীমাংসার জন্য বৈঠক করলেও কোন সমাধান করতে পারেনি।
অবশেষে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামালের হস্তক্ষেপে খুলনা সাত রাস্তার মোড়স্হ বি এম এ ভবনে খুলনার বি এম এর খুলনা অঞ্চলের সভাপতি ডাক্তার বাহার আলম সহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে এক জরুরী বৈঠকের মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধান আনার চেষ্টা করলে বিএম এর নেতৃবৃন্দরা বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার মাধ্যমে এক তারা তৎক্ষণাৎ পুলিশ প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অভিযুক্ত এস আই নাইম এবং তার স্ত্রী সহ অন্যান্য আসামিদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশনা দেন।

নেতৃবৃন্দের অনুরোধ এবং জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করেন নিম্নলিখিত শর্তে আগামী সাত কর্ম দিবসের জন্য কর্ম বিরতি স্থগিত করা হয়। দাবি ১ : শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডঃ শেখ নিশাদ আব্দুল্লাহের দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি এএসআই নাঈম তার স্ত্রী ও অজ্ঞাত অন্যান্য আসামিদের সাত দিনের মধ্য গ্রেপ্তারের চার্জশিট দাখিল করে বিচারের সম্পর্ক করতে হবে।

দাবি ২ : ডাক্তার শেখ নিশাত আব্দুল্লার বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার ফাইনাল রিপোর্ট প্রদান করতে হবে।

এছাড়া বিএমএ খুলনার কর্মস্থলের নিরাপত্তার কৃতিত্ব পেশা ভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা আন্ত ক্যাডার বৈষম্য রোদসহ বিভিন্ন দাবিতে চলমান আন্দোলন অব্যাহত থাকবে আগামী এক সপ্তাহ পর অর্থাৎ ১১ই মার্চের মধ্য উল্লেখিত আসামি এএসআই নাঈম গ্রেফতার হয়ে বিচারের আওতায় না আসলে এবং শেখ নিসাদ আব্দুলার বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার ফাইনাল রিপোর্ট প্রদান করা না হলে আগামী ১১ই মার্চ খুলনা বি এম এ
বিপিএমএ ও বিপিএইচসিডিও এর যৌথ সভা ডেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

শেয়ার..

আরো সংবাদ পড়ুন...
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | আলোর দেশ ২৪ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Developed By Radwan Ahmed