কমলগঞ্জ প্রতিনিধি::
ইসরায়েলিরা কবরস্থানকেও ছাড়দেয়নি, বেরিয়ে এসেছে মরাদেহ
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের পশ্চিম শ্রীসূর্য্য গ্রামে এক কৃষকের খড়ের গাদায় আগুন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এতে কৃষকের প্রায় ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে খড়ের গাদায় আগুন লাগায়। তবে পূর্ব বিরোধের জের ধরে গ্রামের শ্রীবাস পাল পরিকল্পিতভাবে খড়ের গাদায় আগুন লাগিয়েছে বলে জানান বিধান চন্দ্র পাল।
স্থানীয়রা জানান যে, কুয়াশা ও অন্ধকার রাতে প্রতিপক্ষের লোকজন আগুন লাগিয়ে দেয়ার পর ধীরে ধীরে খড়ের গাদায় ধোঁয়া উড়তে থাকে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে বিধান চন্দ্র পালসহ বাড়ির লোকজন দৌঁড়ে এসে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তবে সবাই ব্যর্থ হলে ফায়ার সার্ভিস অফিসে খবর দিলে দমকল বাহিনী এসে মধ্যরাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুনে খড়ের গাদার অধিকাংশ পুড়ে যাওয়ায় কৃষকের প্রায় ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে পুলিশ রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
বিধান চন্দ্র পাল জানান যে, পূর্ব বিরোধের জের ধরে গ্রামের শ্রীবাস পাল পরিকল্পিতভাবে আমার খড়ের গাদায় আগুন লাগিয়েছে। গবাদি পশুর জন্য প্রায় ১২ কেদার জমির খড় দিয়ে শ্রমিক লাগিয়ে অনেক কষ্ট করে খড়ের গাদা বানিয়েছি। এই গাদার পাশের্^ রাস্তার সাথে আরও খড়ের গাদা থাকার পরও সেগুলোতে আগুন লাগেনি। ইচ্ছাকৃতভাবে আমাকে ও আমার ভাইকে হয়রানি ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করানোর জন্য আগুন লাগিয়েছে। ইতিপূর্বে সে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাও দিয়েছে। এঘটনায় আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের এর প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে শ্রীবাস পাল বলেন যে, ‘ঘটনার সময়ে আমি উপজেলার শহীদনগর বাজারে দোকানে ছিলাম। সেখানে একটি দোকানে ম্যানেজার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছি। বিধান চন্দ্রের সাথে বিরোধ ও মামলা মোকদ্দমা থাকলেও গবাদি পশুর খড়ের গাদায় কোন বিবেকবান কেউ আগুন লাগাতে পারে না। সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে দায়ী করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির এস.আই জাকির হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।