1. mumin.2780@gmail.com : admin : Muminul Islam
  2. Amenulislam41@gmail.com : Amenul :
  3. smking63568@gmail.com : S.M Alamgir Hossain : S.M Alamgir Hossain
কমলগঞ্জে শাসন করার ক্ষোভে রাফি কে গলা কেটে হত্যা করেছে আপন ভাই - আলোরদেশ২৪
সংবাদ শিরোনাম :
মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) সংসদীয় আসনে ৮ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল জুলাই যুদ্ধা হাদি আর নেই, সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি কমলগঞ্জে মহান বিজয় দিবসে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও পুরস্কার বিতরণ চিতলীয়া প্রবাসী কল্যাণ সংগঠন এর শীতবস্ত্র বিতরণ ওসমান হাদীকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে কমলগঞ্জে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ সততাই আদর্শ চেয়ারম্যান অলি আহমদ খান কমলগঞ্জে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু,গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার কমলগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে বেগম জিয়া’র রোগ মুক্তি জন্য দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে খাসিয়াদের নববর্ষ‘খাসি সেং কুটস্নেম,অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে মুন্সিবাজার–রামেশ্বরপুর সড়কে কার্পেটিংয়ে অনিয়মের অভিযোগ

কমলগঞ্জে শাসন করার ক্ষোভে রাফি কে গলা কেটে হত্যা করেছে আপন ভাই

  • প্রকাশিত : সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫
  • ২৬৭ বার দেখা হয়েছে

এম এ হাই,
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের সিদ্ধেশ্বরপুর গ্রামে সংঘটিত আলোচিত ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম রাফি (২৬) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকারী হিসেবে আপন ছোট ভাই মাদ্রাসা ছাত্র রানা (১৬ ছদ্মনাম) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নোবেল চাকমা।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, আলোচিত এ হত্যা ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং প্রাথমিকভাবে হত্যার কারণ ও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে তদন্ত শুরু করে। পুলিশ গোপন সোর্স, তথ্য প্রযুক্তি, এলাকাবাসীর বক্তব্য এবং আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় নিহতের ছোট ভাই রানাকে (ছদ্ম নাম, বয়স ১৬) ঘটনার দিনই (৯ আগস্ট) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়। পরবর্তীতে নিহতের স্ত্রী এবং আশেপাশের মানুষের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রোববার ১০ আগস্ট রাফির জানাযায় রানা গিয়ে এতো মানুষ আর আবেগ দেখে স্থানীয় চেয়ারম্যানের ও পুলিশের কাছে রানা তার বড় ভাইকে হত্যার কথা শিকার করে।

জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে কিভাবে হত্যা করেছে তার বর্ননা দেয় রানা। তার ভাইকে ঘুমের মধ্যে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত রানা জানায়, ঘটনার আগের দিন অর্থাৎ গত শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাত অনুমানিক ৮ টায় তার বড় ভাই নিহত রাফির কাছে সে ৫শ টাকা চায়। রাফি ছোট ভাইকে টাকা না দিয়ে গালিগালাজ এবং দুর্ব্যবহার করে। এই ঘটনায় বড় ভাইয়ের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে রানা। পরের দিন শনিবার (৯ আগস্ট) সকাল ৭টার দিকে ঘুম থেকে উঠে ঘাতক ছোট ভাই দেখে তার মা বাড়িতে পুকুরে তালা বাসন পরিষ্কার করছেন। বাড়িতে স্ত্রী না থাকায় সেদিন রাফির ঘরের দরজাও খোলা রেখেই রাফি ঘুমিয়ে ছিল।

এ সুযোগে আগের রাতের ঘটনায় ভাইয়ের উপর রাগের মাথায় খাটের নিচে থাকা ধারালো দা দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় রাফিকে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর ঘাতক রানা হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা বেসিনে ধুয়ে পরিস্কার করে পুনরায় খাটের নিচে রেখে দেয় এবং তার পরনে থাকা রক্তমাখা লুঙ্গিও খাটের নিচে রেখে দেয়। ঘটনার পর সে বাড়ি থেকে বের হয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রম করতে থাকে।

শুধু ৫শ টাকা প্রদান না করার ঘটনাই এ হত্যাকান্ডের পেছনে একমাত্র কারন নয়। নিহত রাফির বাবার স্বপ্ন ছিল ছোট ছেলে রানা (ছদ্মনাম) মাদ্রাসায় পড়াশোনা করবে, হাফেজ আলেম হবে। কিন্তু রানার পড়াশোনার ছিল উদাসীনতা। চার বছর আগে রাফিদের বাবা মারা যাওয়ার পর বড় ভাই হিসেবে রাফিই ছিল ছোট ভাইয়ের অভিভাবক। রাফি চাইতো তার ছোট ভাই বাড়িতে না থেকে মাদ্রাসায় থেকে পড়াশোনা করবে। কিন্তু তার ভাই(রানা) মাদ্রাসা না থেকে বাড়িতেই বেশী থাকত। এসব কারনে রাফি প্রায়ই শাসন করত। ভাইয়ের শাসন সে মেনে নিতে পারেনি। এছাড়া নিহত রাফি পরিবারের অমতে প্রেম করে বিয়ে করে। বিয়েতে রাফির পরিবার বা আত্মীয় স্বজন কারোরই মত ছিল না। বিয়ের পর থেকে রাফির স্ত্রীর সাথে রাফির মা ও ভাইয়ের কিছু টানাপোড়নও ছিল। প্রায়ই দেবর-ভাবী এবং ভাইয়ের সাথে পারিবারিক অশান্তি বিরাজ করতো। এসব ক্ষোভ থেকেই রাফিকে হত্যা করে ছোট ভাই রানা।

ঘাতক রানাকে গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা এবং তার ঘরের খাটের নিচ থেকে তার রক্তমাখা লুঙ্গি উদ্ধার করা হয়েছে। আলোচিত এ হত্যকান্ডের ঘটনায় ভিকটিমের মা মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে কমলগঞ্জ থানায় ১০ আগস্ট একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিল।

জানা যায়, নিহত আব্দুর রাহিম রাফি রহিমপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন। তিনি সিদ্ধেশ্বরপুর গ্রামের মৃত আব্দুস ছাত্তার এর ছেলে।

শুক্রবার রাফির স্ত্রী তাদের একমাত্র ৬ মাসের সন্তানকে নিয়ে মোলভীবাজরের একাটোনায় বাবার বাড়ীতে বেড়াতে যায়। রাতে বাড়ীতে রাফি ঘরের মধ্যে একাই ঘুমিয়ে ছিলেন।

শেয়ার..

আরো সংবাদ পড়ুন...
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | আলোর দেশ ২৪ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Developed By Radwan Ahmed