কমলগঞ্জ প্রতিনিধি::
মণিপুরী ললিতকলা একাডেমির বাদ্যযন্ত্র প্রশিক্ষক ধীরেন্দ্র কুমার সিংহ আবারও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, তিনি অতীতে এক নারী নির্যাতন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী ছিলেন। এছাড়া মণিপুরী সমাজে বিভিন্ন বিষয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও একাধিক মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
(১৭ আগস্ট ২০২৫) রোববার এবিষয়ে খুজ নিয়ে জানাযায যে, অভিযোগকারী একজন সরকারী কর্মচারী, সুতরাং তিনি নিজ পরিচয় গোপন করে অভিযোগ করেছেন এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে কোন প্রকার আলাপ বা সাক্ষাত না করে অভিযোগ দাখিল করেন। গণঅভ্যুত্থান অনুষ্ঠানমালা ২০২৫ এ তিনদিনের ২৭-২৯ জাতি বৈচিত্র্য মেলায় প্যাভেলিয়ান নিয়ে ২৭-২৯ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত অনুষ্ঠানস্থল ঢাকায় অবস্থান করতেছিলেন। এই অবস্থানকালীন সময়ে তিনি অভিযোগকারীকে বারংবার মোবাইল ফোনে যোগযোগ করার চেষ্টা করেছেন। কিন্ত অভিযোগকারী কল রিসিভ করেন নাই। যেহেতু উপ-পরিচালক ঢাকায় অবস্থান করছেন সেহেতু তিনি একাডেমিতে ফেরত না আসা পর্যন্ত অভিযোগকারী কিভাবে প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে অভিযোগ দাখিল করেন এবং যেহেতু অভিযোগকারী নিজে স্বীকার করেছেন যে, তিনি এবং তার ছাত্ররা স্বাক্ষর দিয়ে আয়োজকদের নিকট থেকে নিজ হাতে ৪৫০০/- করে সম্মানী গ্রহণ করেছেন।
সেহেতু এখানে উপ-পরিচালক সম্মানী আত্মসাতের কোন সুযোগ নাই। ফ্যাসীবাদ বিরোধী বর্তমান সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী তিনি সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী নানা কার্যক্রম সুচারুভাবে পালন করে চলেছেন, এই বিষয়টা অনেক ফ্যাসীবাদী আওয়ামী লোকেরা মানতে পারছেন না। ফ্যাসীবাদ সরকারের পতনের পর এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সুন্দরভাবে চলমান রয়েছে, যা প্রশংসার দাবী রাখে। অভিযোগে অভিযোগকারীর সাথে আওয়ামী ফ্যাসীবাদ সরকারের ছেলেরাও যুক্ত আছেন, বিধায় এটা এই সরকারের বিরুদ্ধে নিছক একটা চক্রান্তও বটে।
অবস্থাদৃষ্টে দেখা যাচ্ছে, অভিযোগকারী নিজে স্বীকার করছেন তারা স্বাক্ষর দিয়ে সম্মানী গ্রহণ করেছেন, সুতরাং উপ পরিচালক কিভাবে সম্মানী আত্মসাৎ করতে পারেন। বিধায় অভিযোগের বিষয়ের সাথে তাদের বর্ণনার কোন মিল নাই। তিনি চক্রান্তমূলকভাবে নিজের দোষ অন্যের উপর চাপাচ্ছেন। সুতরাং এই অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যমূলক। এইসব সরকারী নিয়ম ভঙ্গকারী এবং সরকার বিরোধী কুমতলববাজ মানুষদের শাসন করা এবং শাস্তি প্রদান করা জরুরী।
এলাকায় খুজ নিয়ে জানাযায় যে, তিনি ২০০৮ সালে নারী নির্যাতন মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা কোর্ট কতৃক প্রদান করা হয়। তিনি পলাতক থেকে তিনমাস জেলা খাটেন।
এবিষয়ে আরও কিছু জানতে চাইলে তিনি বলেন, (ধীরেন্দ্র কুমার সিংহ) ডিসি স্যারে মাধ্যমে তদন্ত চলছে। মামলা আমার ব্যক্তিগত বিষয়।
এবিষয়ে ললিতকলা একাডেমি উপ-পরিচালক এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান যে, এবিষয়ে প্রতিষ্ঠানিক তদন্ত চলছে। সে (ধীরেন্দ্র কুমার সিংহ) প্রতিষ্ঠানের নিয়মের বাহিরে গিয়ে সাংবাদিকদের সাথে যোগাযোগ করে জাতীয় দৈনিক জনকণ্ঠ সহ আরও কয়কটি পত্রিকায় গত শুক্রবারে নিউজ আসায় প্রতিষ্ঠানে ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।