সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।। সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় চলন্ত বাসে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় ৫ দিন পর অভিযুক্ত চালক শহীদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি পুলিশ।
ঘটনার পর থেকে ৫ দিন পলাতক থাকার পর ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জে এসে নামার সময় শনিবার ভোর ৬ টা সুনামগঞ্জ পুরাতন বাসস্টেশন থেকে সিআইডি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় গত ২৭শে ডিসেম্বর গভীর রাতে রশিদ আহমদ নামের ওই গাড়ির হেলপারকে সিলেটের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ছাতকের বুরাইরগাঁও থেকে আটক করে।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সিআইডি পুলিশ নানা কৌশলে চালক শহীদকে ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জে এনে ভোর ৬ টায় সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাসস্টেশন থেকে আটক করেছে। তিনি জানান, এখনো সকাল ৯ টা পর্যন্ত শহীদকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেনি সিআইডি।
উল্লেখ্য, গত ২৬শে ডিসেম্বর শনিবার বিকালে সিলেটের লামাকাজী থেকে দিরাইয়ে যাচ্ছিলেন ওই কলেজ ছাত্রী। দিরাই পৌরসভার সুজানগর গ্রামের পাশে এসে যাত্রীবাহী ওই বাসে একা হয়ে যান ওই ছাত্রী। অন্য যাত্রীরা নেমে যায়। এসময় চালক ও হেলপার কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। সম্ভ্রম বাঁচাতে ওই ছাত্রী চলন্ত বাস থেকেই লাফিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে সড়কের পাশ থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দিরাই হাসপাতালে নেন। মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। খবর পেয়ে নির্যাতিতার স্বজনসহ স্থানীয়রা রাতে দিরাই থানার সামনে বিক্ষোভ করে। পুলিশ বাসটি জব্দ করে।
এঘটনায় ওই দিন রাতেই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বাসের চালক শহীদ মিয়া ও হেলপার রশিদ আহমদকে আসামী করে দিরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। নির্যাতিতা ছাত্রীর বাড়ি দিরাই পৌর শহরের মজলিশপুর গ্রামে। সে দিরাই ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। ওই ছাত্রী বর্তমানে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে