মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :
মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবে মুক্তিযোদ্বার ভুয়া সন্তান পরিচয় দিয়ে ভাতা
উত্তোলনকারীর বিরুদ্বে আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিক মিজ্ঞার স্ত্রী আজিরুন বেগম। ২০ মার্চ বেলা ২ঘটিকার সময় সংবাদ সম্মেলন করেন আজিরুন বেগম, স্বামী- মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিক মিঞা , সাং- কালেঙ্গা, ডাকঘর-
চৈত্রঘাট, উপজেলা- কমলগঞ্জ, জেলা- মৌলভীবাজার। সংবাদ সম্মেলনে তিনি উল্লেখ করেন স্বাধীনতার মাসে দু:খ ভরা মন নিয়ে হাজির হয়েছি । মাহবুব আলম রওশন,ভোটার নং-৫৮০৩৮০৭০৭২০১ পিতা- শফিকুল ইসলাম, , মাতা- জুবেদা খাতুন, দাদা- মৃত রেজান আলী, গ্রাম-বিরইন তলা, উপজেলা- জুড়ী, জেলা- মৌলভীবাজার সে আমার কোন ঔরসজাত সন্তান নয়। মাহবুবুল আলম রওশন দুর্নীতিবাজ, প্রতারক, মিথ্যাবাদী, ধোকাবাজ অত্যন্ত অন্যায়কারী
খারাপ কিছিমের লোক। আমার স্বামী শফিক মিয়া একজন প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা । যার
ভারতীয় ভারতীয় মুক্তিযোদ্বা নং-২৭৮২০,গেজেট নং- ১০৬১, তিনি হোসেনাবাদ পশ্চিম বটউলি এসব এলাকায় দীর্ঘদিন বসবাস করার পর যুদ্ধকালীন সময়ে আমাদের বিষয় সম্পত্তি নি:শেষ হয়ে যাওয়ার পর তিনি বর্তমান ঠিকানায় আসিয়া সরকারি খাস ভূমিতে ঝুপড়ি ঘর নির্মাণ করিয়া স্থায়ী ভাবে বসবাস করিয়া বিগত ১১/১২/২০০৬ইং
তারিখে কমলগঞ্জ উপজেলার কালেংগা গ্রামে মৃত্যুবরণ করেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন কাজ সম্পন্ন শেষে কালেংগা গ্রামেই তাকে কবর দেওয়া হয়। স্বামীর মৃত্যুর সময় আমার ২ পুত্র (১) জয়নাল মিয়া, (২) কামাল মিয়া ও ৪ কন্যা (১) আয়েশা বেগম, (২) রাহেলা বেগম, (৩) লাকি বেগম, (৪) সাকি বেগম কে রেখে মারা যান । আগে কিংবা পরে আমার স্বামী আর কোন বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হন নাই। স্বামীর মৃত্যুর পর আমি বিগত ২০০৭ ইংরেজীর জুলাই মাস হইতে নিয়মিত স্বামীর উত্তরাধীকারী সূত্রে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলন করিয়া আসিতেছি । স¤প্রতি মুক্তিযোদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গওঝ সফটওয়্যারের মাধ্যমে জানিতে পারিলাম যে, মাহবুব আলম রওশন আমার স্বামীর ভূয়া সন্তান সেজে মুক্তিযােদ্ধা ভাতা উত্তোলন করিতেছে । তার পিতা শফিকুল ইসলাম কোন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, তাই মাহবুবুল আলম রওশন তার দাদার নাম রেজান আলীর স্থলে আমার শশুর আজন মিঞার নাম জালিয়াতি করে আমার স্বামীকে তার
পিতা পরিচয় দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলন করে আসছেন তা সঠিক তদন্ত করলেই তার দুর্নীতির তথ্য বেরিয়ে আসবে । মাহবুব আলম রওশনের চাচারা হলেন, উকিল মিয়া, মুক্তার মিয়া ভোটার নং-:৫৮০৩৮০৭০৭১৯৯ , মৃত রফিক মিয়া, মনির হোসেন ভোটার নং-৫৮০৩৮০৭০৭১৮২, এবং তার ফুফুদের ভোটার আইডিতে এবং তাদের বিষয় সম্পত্তির সকল কাগজাতে তাদের পিতার নাম [মাহবুব আলম রওশনের দাদার নাম] রেজান আলী উল্লেখ রয়েছে। মাহবুব আলম রওশন একজন প্রতারক দুর্নীতিবাজ হিসেবে তার এলাকায় পরিচিত। গত কিছুদিন পুর্বে বিরইনতলা এলাকার আব্দুল জব্বার নামের এক ব্যক্তির বয়স্ক ভাতা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করায় তার বিরুদ্বে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে বিরইনতলা গ্রামের হাজী আব্দুল মন্নানের পুত্র আব্দুস সোবহান বিরুদ্বে সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সে নিজেকে একজন সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে দাপট কাটিয়ে বিভিন্ন কাগজাত জালিয়াতি করে ২০১৪ সালে তার মাতা জুবেদা খাতুনকে
মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী দাবী করে ভাতার প্রাপ্তির জন্য আবেদন করান এরপর তার মাতা মারা যান। ২০১৮ সাল হইতে ভাতা শুরু হলে মাতার মৃত্যুর পর হইতে তিনি উত্তরাধীকারী হিসেবে ভাতা উত্তোলন করে আসছেন। আমার স্বামী শফিক মিঞা হোসেনাবাদ পশ্চিম বটউলি এসব এলাকায় দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছিলেন । মাহবুব আলম রওশনের বাবার নাম শফিকুল ইসলাম থাকার কারণে আমার স্বামী শফিক মিঞার ভারতীয় মুক্তিযোদ্বা নং- ২৭৮২০ কে তার বাবা বলে সু কৌশল করে কাগজাত তৈরী করে বনে যায় মুক্তিযোদ্বা সন্তান। আপনারা দেশ ও মানুষের জন্য অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। গত কয়েকদিন যাবত বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে
আমাদের বিরুদ্বে সংবাদ পরিশেনের মাধ্যমে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে প্রতারক মাহবুব
আলম রওশন। এমনকি মিথ্যা তথ্যে সংবাদ পরিবেশনে লিখা হয়েছে আমাদের ভাতা নাকি বন্ধ তা সম্পুর্ণ বানোয়াট অপপ্রচার। বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ও ফেসবুকে
আমাদের বিরুদ্বে মানহানিকর অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যা খুবই দু:জনক। আপনারা তার এলাকায় গিয়ে যাচাই- বাচাই করে দেখবেন তার বাবা শফিকুল ইসলাম কোন
মুক্তিযোদ্বা ছিলেন না। তার দুর্নীতি প্রকাশ্যে হবার পর সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে
জনগনের দৃষ্টিকে অন্য দিকে ফিরাবার চেষ্টা করছেন। আপনাদের মাধ্যমে মাননীয়
প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবী করছি ,মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সন্তান সেজে ভাতা উত্তোলনকারীর
বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও ২০১৮ সাল থেকে উত্তোলনকৃত ভাতা সরকারী
কোষাগারে জমা দেওয়ার দাবী জানাচ্ছি । মাহবুব আলম রওশনের সাথে প্রতারণা
জালিয়াতিতে জড়িতদের সরেজমিন তদন্তক্রমে বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানাচ্ছি। আমরা গত ৭ মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসক বরবরে লিখিত অভিযোগ করেছি ও সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপি পাঠিয়েছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্তিত ছিলেন, মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিক মিজ্ঞার ছেলে কামাল মিয়া, মেয়ে লাকি বেগম, মেয়ের জামাই আজিজুল ইসলাম, নাতি শুভ আহমেদ।