1. mumin.2780@gmail.com : admin : Muminul Islam
  2. Amenulislam41@gmail.com : Amenul :
  3. smking63568@gmail.com : S.M Alamgir Hossain : S.M Alamgir Hossain
কমলগনঞ্জে লক ডাউন নিয়ে চলছে লুকোচুরি খেলা - আলোরদেশ২৪

কমলগনঞ্জে লক ডাউন নিয়ে চলছে লুকোচুরি খেলা

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই, ২০২১
  • ৪৪৬ বার দেখা হয়েছে

মোঃমহিউদ্দিন খাঁন, কমলগনঞ্জ(মৌলভীবাজার)  প্রতিনিধি।। 

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে সরকার নির্দেশিত লকডাউন ও আদেশ মানতে প্রসাশন কঠোর অবস্হানে থাকার পরও চলছে জনগনের মাঝে লুকোচুরি খেলা।লকডাউন বাস্তবায়নে হাট-বাজারে মনিটরিং করে আসছে কঠোরভাবে প্রশাসন।

করোনা ভাইরাসের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে সকল বাহিনী মাঠে নেমেছে

এদিকে কমলগঞ্জ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ তীব্র আকার ধারণ করেছে গত কয়েক দিনে করোনা সংক্রমন নিয়ে আক্রান্ত হয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে।আআক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই প্রতিদিন।কিন্তু দেখা যায লকডাউন মানতে নারাজ মানুষ।পুলিশ প্রসাশন বাজারে মনিটরিং করতে আসলেই বাজারে যেন ভুমিকম্প শুরু হয়ে যায। দপাশ দপাশ সাটারের শব্দে মনে হয় এই বুঝি ভূমিকম্প এসেছে,মনিটরিং শেষ আবার রাত পযর্ন্ত বাজারের অধিকাংশ দোকানের সাটারের অর্ধেক খোলা। দোকানের সামনে বা গলির মুখে দায়িত্বে আছেন একজন। তিনি দেখছেন প্রশাসন বা পুলিশ আসছে কি না?

মৌলভীবাজার ১৪২ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত মৃত্যু-৩

প্রশাসনের কেউ আসলেই দেয়া হচ্ছে সংকেত; সঙ্গে সঙ্গেই মুহুর্তের মধ্যই বন্ধ হয়ে যায় সব দোকান ও ব্যাবসা প্রতিষ্টানগুলো।কিন্তু প্রশাসনের লোকজন চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই আবার দেখা যায় দোকানের অর্ধেক সাটার খোলা হচ্ছে।

কমলগঞ্জ উপজেলার ছোট বড় কয়েকটি বাজারের মতো শমশেরনগর বাজারে সকাল,দুপুর,বিকাল ও রাতের চিত্র ভিন্ন। সন্ধ্যার পরেই বিভিন্ন চায়ের দোকান ও ফাস্টফুডের দোকানে বিশেষ করে শমশেরনগর ষ্টেশন এলাকায় জমে উঠে আড্ডার কেন্দ্রস্হল। সেখানে নেই কোন নিরাপদ দুরত্বের গুরুত্ব।

সরকারের নির্দেশিত চলমান লকডাউনে দোকান পাট শপিং মল খোলা ও বন্ধের এমন ব্যবস্থাকে স্থানীয়রা রসিকতা করে বলছেন ‘চোর-পুলিশ লুকোচুরি খেলা’।

কমলগঞ্জ উপজেলা জুড়েই মিলেছে এমন চিত্র। লকডাউনের মধ্যেই দেদারছে চলছে মানুষের চলাচল ও ব্যবসা বাণিজ্য। উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করলেও তোয়াক্কা করছেন না স্থানীয় জনগন।মানছেন না স্বাস্হ্য বিধির কোন শর্ত।

লকডাউন কার্যকরে প্রশাসনের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি উপজেলাব্যাপী মাঠে কাজ করতে দেখা গেছে। থানা পুলিশও দিন-রাত কাজ করছে। তবে স্থানীয়দের ঠিকমতো বিধিনিষেধ মানতে দেখা যায়নি।

উপজেলার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ দোকানের অর্ধেক অংশ খোলা রেখে চলছে বেচা-কেনা। অনেকের মুখে মাস্ক নেই। নেই সামাজিক দূরত্বের বালাই।চলছে সব শ্রেনী পেশার মানুষের ভিড় ও জটলা বেঁধে আড্ডা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদকে একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমি একা দোকান বন্ধ রাখলে কী হবে।বড় বড় ব্যাবসায়ীরা অনেকেই তাদের দোকানের সাটারের অর্ধেক খোলা রেখে ব্যবসা করছে। তাই আমিও খোলা রাখতে বাধ্য হচ্ছি?

এ বিষয়ে কমলগনঞ্জউপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশেকুল হক বলেন,ইতিমধ্যে প্রতিদিনই উপজেলার সর্বত্রই প্রতিটি হাট বাজার ও শপিং মলে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইন অমান্য কারিদের বিরুদ্ধে কয়েকজন ব্যবসায়ীকে জরিমানাও করা হয়েছে।তিনি আরো বলেন সরকার নির্দেশিত চলমান লকডাউন মানতে এবং স্বাস্হ্য বিধি মেনে জনগনের প্রতি বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানান যেহেতু করোনার সংক্রমণ এখন শহর থেকে গ্রামে

গঞ্জে বিস্তার লাভ করেছে।আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে,বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। তাই করোনার এই অতি সংক্রমনের ঝুকি মোকাবেলায়  সবাইকে সচেতন থেকে চলাচল করত হবে।মানতে হবে লকডাউন ও স্বাস্হ্য বিধি।

শেয়ার..

আরো সংবাদ পড়ুন...
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | আলোর দেশ ২৪ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Developed By Radwan Ahmed