অনলাইন ডেস্ক।।
বিশ্বম্ভরপুর সীমান্তে ভারতীয় অবৈধ মদ আটক
বিশ্বের অন্যতম পারমাণবিক শক্তিধর দেশ পাকিস্তান। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইমরান খানের এযাত্রায় বোধহয় আর প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার বাঁচানো সম্ভব নয়। তিনি যতই বিদেশি অর্থে সরকার বদলের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেন না কেন আপাতত এই সাবেক বিশ্বজয়ী ক্রিকেটার বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের যাঁতাকল থেকে বেরনোর পথ ক্রমেই জটিল হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতের খবর, ইমরানের দলের প্রধান জোটসঙ্গী মুত্তাহিদা কউমি মুভমেন্ট পাকিস্তান তথা এমকিউএম-পি হাত মিলিয়েছে বিরোধী দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির সঙ্গে। ফলে ইমরানের দর তেহরিক-ই- ইনসাভ রাতারাতি বড় সংকটে পড়বে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এর ফলে ইমরানের পক্ষে ৩রা এপ্রিলের আস্থা ভোটে জেতা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়াল। কেননা এমকিউএম-পি পিপিপির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধায় বিরোধীদের পাকিস্তানের জাতীয় সংসদের মোট সদস্যসংখ্যা দাড়াল ১৭৭। ইমরান প্রশাসনের সদস্যদের সংখ্যা কমে হল ১৬৪।
পাকিস্তানের ৩৪২ সদস্যের জাতীয় সংসদে সরকার গড়ার ‘ম্যাজিক ফিগার’ ১৭২টি আসন। যা থেকে অনেকটাই দূরে ইমরানের দল। প্রসঙ্গত, সরকার গড়ার সময় ইমরান সরকারের সদস্য ছিল ১৭৯। সেই সংখ্যাই কমে এখন ১৬৪তে দাড়ায় এতে বিপাকে পড়েন ইমরান।
এরই মধ্যে ইসলামাবাদের প্যারেড ময়দানে গণ- সমাবেশের ডাক দিয়েছিল পিটিআই। সেখানে লক্ষাধিক মানুষের সামনে ইমরান অভিযোগ করেন, বাইরে থেকে পাকিস্তানের বিদেশ নীতিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে।
ইমরান আরও বলেন যে, “বেশ কয়েক মাস ধরেই এটা চলছে। কে এই লোকগুলোকে একজোট করছে, তা আমরা জানি, কিন্তু সময় বদলে হয়েছে। এটা জুলফিকার আলি ভুট্টোর আমল নয়।” পাক কূনীতিকদের বক্তব্য, এমন অভিযোগে আর কাজ হবে না। এবার গদি ছাড়তেই হবে ইমরানকে।
পাকিস্তানের সংসদে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনলেন বিরোধীরা। পাকিস্তানরে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনস্থা প্রস্তাব পেশে নেতৃত্ব দেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরিফ। তখন থেকেই শুরু হয় বিভিন্ন জল্পনা কল্পনা । ইমোন খান আগামী সাতদিনের মধ্যেই পদত্যাগ করতে পারেন। নয়া পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ)-এর নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নওয়াজের ভাই শাহবাজই।
এদিকে ইমরান ঘনিষ্ঠ পাক পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী উসমান বুজদারের বিরুদ্ধেও অনাস্থা এনেছে বিরোধীরা। সব মিলিয়ে ঘরে-বাইরে কোণঠাসা ইমরান খান। মঙ্গলবার রাতের ঘটনার পরে সেই চাপ আরও একদফা বাড়ল। যা ইমোর কেটে বেরিয়ে আসা প্রায় অসম্ভব বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।