সিলেটগামী আন্তঃনগর পারাবত ট্রেনে আগুন
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি::
ছিদ্দিকুর রহমান সাদেক,বাড়ি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকার ৫নং ওয়ার্ডের চন্ডীপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান পনি মিয়ার ছেলে। চাকরি করেন পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে সিলেট পুলিশ লাইনে।মানবিক কাজগুলো করেন বিশাল আকারের।ছোট বেলা থেকেই পাশে দাড়িয়েছেন অসহায় মানুষের।খুব ইচ্ছে ছিল সরকারি চাকরি করার।পুরন হলো সরকারি চাকরির আশা। যখন চাকরি হলো তখন সেই চাকরির টাকা পরিবারে না দিয়ে পুরো টাকা অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেন।এতে তিনি ত্রিপ্তিতা পান বলে মনে করেন। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ছিলো করোনা কালীন প্রাদুর্ভাবের সময় অসহায় দিন মুজুর,দরিদ্র মানুষের।তখন বেতনের পুরো টাকা দিয়ে মাসের পর মাস মানুষকে সাহায্য করতেন। বেতনের টাকা দিয়েও যখন ভালো করে সহযোগীতা করা যায়নি মানুষের,তখন বাড়িতে গিয়ে মা বাবা ভাই বোন আত্বীয় স্বজন ও বন্ধু বান্ধবদের কাছ থেকে সহযোগীতা নিয়ে মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন এই মানবিক পুলিশ সদস্য।
পুলিশের স্বাভাবিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সরকারের নির্দেশনায় মানুষের মাঝে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা, হোম কোয়েরেন্টাইন নিশ্চিত করা, আক্রান্ত ব্যক্তি কিংবা অসুস্থ ব্যক্তিদের হাসপাতালে পাঠানোর মত কাজগুলোও করতেন এই মানবিক পুলিশ।
ডিউটির পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও জনসমাগম স্থলে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়মিত কাজ করতেন এই মানবিক পুলিশ।
করোনা নিয়ে মানুষকে সচেতন করার লক্ষে বিভিন্ন ব্যানার, লিফলেট, ফেস্টুনের মাধ্যমে এবং স্যোশাল মিডিয়ায় করোনা সতর্কতা সম্পর্কে ব্যাপকভাবে প্রচার প্রচারণা করতে দেখা যায়।
করোনা প্রতিরোধে মাঠে কাজ শুরু করে এই মানবিক পুলিশ। লকডাউন ঘোষণা করা হলে কর্মহীন হয়ে পড়া নিম্ন মধ্য আয়ের শ্রমজীবী মানুষের পাশে মানবিক সহায়তা নিয়ে দাঁড়ায় পুলিশ।আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার পাশাপাশি খাদ্য সহয়তা কার্যক্রম শুরু করেন।
করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা কার্যক্রমও অব্যাহত রয়েছে।নিজে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন এবং সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম শুরু করেন। এ কার্যক্রম এখনো অব্যাহত আছে। অতীতে এমন মানবিক পুলিশকে দেখেননি সাধারণ মানুষ।পুলিশের স্বাভাবিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সরকারের নির্দেশনায় মানুষের মাঝে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা, হোম কোয়েরেন্টাইন নিশ্চিত করা, আক্রান্ত ব্যক্তি কিংবা অসুস্থ ব্যক্তিদের হাসপাতালে পাঠানোর মত কাজগুলোও করতেন এই মানবিক পুলিশ।
এ যাবত তিনি ১৫ হাজার অসহায়, গরিব, দুস্থ মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী (চাল ৫ কেজি, আলু ২ কেজি, তেল ১ কেজি, পেঁয়াজ ১ কেজি, ডাল ১ কেজি), বিতরণের মাধ্যমে মানবিক কার্যক্রম শুরু করেন।
এছাড়া পবিত্র রমজান মাস আসলে নিম্ন আয়ের মানুষকে যাতে না খেয়ে রোজা পালন করতে না হয় সেজন্য রমজান মাসের উপহার সামগ্রী বিতরণ করতে দেখা যায়। তাছাড়াও তিনি করোনা কালীন সময়ে রমজান মাসে সেহরী ও ইফতারে খাবার রান্না করে করে মানুষের দাড়ে গিয়ে পৌছে দিয়েছেন তিনি। ঈদ আসলেই তিনি গরীব অসহায় দরিদ্র মানুষকে নতুন নতুন কাপড় কিনেও দিতে দেখা গেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় অসহায়, গরিব, দিনমজুর, তৃতীয় লিঙ্গ, বেদে সম্প্রদায়, রিকশাচালক, ট্রাক ড্রাইভার ও শ্রমিক, চা-শ্রমিকদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। অনেক সময় যারা চক্ষু লজ্জার কারণে ত্রাণ চাইতে পারে না এমন মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য রাতের আঁধারে ঘরের দরজায় ত্রাণ সামগ্রী রেখে আসতেন এই মানবিক পুলিশ।এছাড়াও অসহায় পথশিশু, ছিন্নমূল মানুষজনের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করে আসছেন এ মানবিক পুলিশ।
জানতে চাইলে পুলিশ সদস্য ছিদ্দিকুর রহমান সাদেক বলেন,মানুষ মানুষের জন্য ।করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পুলিশ মানুষের কাছাকাছি থেকে দায়িত্ব পালন করার সুবাধে মানুষের খাদ্য সামগ্রীর কষ্টের বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেছি। মূলত এই ধারণা থেকেই সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে সাধ্যমত খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে চেষ্টা করছি।
তিনি আরো বলেন,করোনা আসলো তিন বছর ঞলো কিন্তু আমি খুব ছোটকাল থেকে মানুষকে সাহায্য করে আসছি।এতে আমার কাছে আনন্দ লাগে। এক পলক তাদের মুখের হাসিটা দেখতে পাই। এতেই আমি খুশি।