1. mumin.2780@gmail.com : admin : Muminul Islam
  2. Amenulislam41@gmail.com : Amenul :
  3. smking63568@gmail.com : S.M Alamgir Hossain : S.M Alamgir Hossain
অবৈধ পথে ইউরোপ যাত্রা মৃত্যুর ফাঁদ - আলোরদেশ২৪
সংবাদ শিরোনাম :
কমলগঞ্জে বখাটে কর্তৃক তরুনীকে অপহরন চেষ্টা ; প্রতিরোধে বখাটে আহত কমলগঞ্জে ৪৬ তম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন কমলগঞ্জে “হৃদয়ে কমলগঞ্জ” এর পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ কমলগঞ্জে জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা সম্পন্ন কমলগঞ্জে আদিবাসীদের ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক অনুষ্ঠান আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: আটক ২ উপদেষ্টা মাহফুজ আলম কমলগঞ্জে জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনূর্ধ্ব-১৭)এর উদ্বোধন কমলগঞ্জে সিএনজি চালককে ফিল্মি স্টাইলে মারধর থানায় অভিযোগ কমলগঞ্জে মুসলিম এইড বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান গোপালী হাসিনার চোখে ঢাকা থেকে টুঙ্গীপাড়া পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল বলেন, সারজিস আলম

অবৈধ পথে ইউরোপ যাত্রা মৃত্যুর ফাঁদ

  • প্রকাশিত : শনিবার, ৩০ জুলাই, ২০২২
  • ৪৫২ বার দেখা হয়েছে

বিএনপির নেতাদের সাথে ইইউ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

অনলাইন ডেস্ক নিউজঃঃ

বাংলাদেশ থেকে বড় স্বপ্ন নিয়ে যারা ইউরোপে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন তাদের সেই স্বপ্নের যাত্রা একসময় মৃত্যুর শোকে মলিন হয় প্রিয়জনদের কাছে। অবৈধ পথে ইউরোপে যাত্রা করে লাশ হন বহু তরুণ। দেশে স্বজনরা কাটান দুঃসহ জীবন।

তবে অবৈধ পথে ইতালি যাওয়ার সময় মুক্তিপণের জন্য লিবিয়ায় বন্দি হয়ে নির্মম নির্যাতনের শিকার তরুণদের পরিবারগুলোর কেউ হারিয়েছে সন্তান, কেউ হারিয়েছে ভাই, কেউ হারিয়েছ স্বামী। মুক্তিপণ দিয়ে স্বজনকে দেশে ফেরানোর আশায় হারিয়েছেন নিজের শেষ সম্বলটুকুও। এমন পরিস্থিতির শিকার দেশের সকল জেলার হাজার হাজার তরুণ।

এমন প্রেক্ষাপটে আজ (৩০শে জুলাই) শনিবার বিশ্ব মানবপাচার বিরোধী দিবস পালিত হচ্ছে। এ দিবসটিকে সামনে রেখে প্রতিবেদক কথা বলেছেন অবৈধ পথে লিবিয়ায় গিয়ে পাচারকারীদের বন্দিশালায় মুক্তিপণের জন্য স্বজনকে মেরে ফেলা হয়েছে, এমন অন্তত ১০টি পরিবারের সঙ্গে। সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক  এমন এক ব্যক্তি তথ্য জানান যে, তাঁর চাচাতো ভাই দালালদের ধরে লিবিয়া যান। সেখানে দালালরা মুক্তিপণের জন্য বন্দি করে তার ভাইকে। প্রায় ৯ মাস অনাহার-অর্ধাহারে ও নির্যাতনের শিকার হয়ে এক পর্যায়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইএমও) সহযোগিতায় গত ৩রা মার্চ দেশে ফেরার কথা ছিল। তাকে নিতে সকাল সকাল ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন তিনি। সকাল ৭টা থেকে চাচাত ভাইয়ের ছবি হাতে নিয়ে হাঁটছিলেন বিমানবন্দরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত।

দিন সকাল সোয়া ৮টায় আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার উদ্যোগে লিবিয়া থেকে আসা বিআরকিউ-২২০ চার্টার্ট ফ্লাইটে লিবিয়ার বন্দিদশা থেকে ১১৪ বাংলাদেশি ঢাকায় ফেরেন; কিন্তু ফেরেননি তার ভাই। লিবিয়া থেকে ফেরা কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন সে মারা গেছে।

এসময় লিবিয়া ফেরত কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তাঁরা জানিয়েছিলেন, ১৫ই ফেব্রুয়ারি সে মারা গেছেন।  সেদিন বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও আইওএমের উদ্যোগে বন্দি শিবিরে ভালো খাবার দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে না খেয়ে থেকে।

খাবার পেয়ে পেট ভরে খানও। সেদিনই সে মারা যায়। এরপর লাশ কোথায় নেওয়া হয়েছে, তাঁরা কেউ তা জানেন না।

তার বাবা নেই। বৃদ্ধ মা আর বোন। ছোট একটি ভাইও আছে। একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে তার মা এখন পাগলপ্রায়। দালালকে টাকা দিতে গিয়ে শেষ সম্বলটুকুও হারিয়েছেন। পরিবারটি এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে।

ছেলেটির স্বজনদের মতোই পরিস্থিতি আরোও অনেকের। কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় যে, সাগরে ডুবে মরলে খবর হয়। সবাই জানে। লাশের ছবি হলেও দেশের স্বজনরা দেখতে পায়; কিন্তু বন্দিশিবিরে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যাওয়াদের খবর কেউ জানে না। লিবিয়ায় দালালরা নির্যাতন করে বন্দিশিবিরেই মেরে ফেলছে, সেটা স্বজনরা জানছে অনেক দিন পর। এর মধ্যে স্বজন জীবিত আছে মনে করে দালালকে টাকা দিতে দিতে নিঃস্ব হয়ে যায় এমন অনেক পরিবার।

এমন এক পরিবারের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের দুলাল দেওয়ান। তিনি কালের কণ্ঠকে জানান, অবৈধ পথে ইতালি যাওয়ার সময় লিবিয়ায় তাঁর ছেলে শাকিল দেওয়ান বন্দি হন দালালদের হাতে।  নির্যাতন থেকে বাঁচাতে দেন কয়েক দফা মুক্তিপণ। ক্রমাগত নির্যাতনের এক পর্যায়ে শাকিল অসুস্থ হয়ে পড়লে দালালরা তাঁকে জনমানবহীন রাস্তায় গাড়ি থেকে ছুড়ে ফেলে চলে যায়। সেখানেই তাঁর নির্মম মৃত্যু হয়। অথচ মৃত্যুর পরও শাকিলের পরিবারের সঙ্গে কথা চালিয়ে যায় দালালরা।

ব্র্যাক ইমিগ্রেশনের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যে কাজের কথা কথা বলে অনেককেই বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ আছে। দুবাইতে বিভিন্ন ডান্স ক্লাবে কাজের কথা বলে নারী পাচার করা হচ্ছে। এমনকি সিরিয়ায়ও অনেককে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে বিদেশে কাজের কথা বলে নেওয়া নারীদের ওপর নানা ধরনের নিপীড়ন বাড়ছে। গত ছয় বছরে অন্তত ১০ থেকে ১২ হাজার নারী নানা তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে ২০২১ইং সালে ছয় হাজার ৬৩৮ জন এবং এই বছরের প্রথম ছয় মাসে আড়াই হাজার নারী ফেরত এসেছেন।

২০১৯ইং সালের ২৬শে আগস্ট সৌদি আরবফেরত ১১০ নারী গৃহকর্মীর সঙ্গে কথা বলে

এবিষয়ে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ৩৫ শতাংশ নারী শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফিরে এসেছেনে। ৪৪ শতাংশ নারীকে নিয়মিত বেতন দেওয়া হতো না।

দেশে ফিরে আসা নারী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে মন্ত্রণালয় তাঁদের ফিরে আসার ১১টি কারণ চিহ্নিত করেছে। মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেরত আসা নারী কর্মীদের মধ্যে ৩৮ জন শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান বলেন যে, ২০১৫ইং সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ লোক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। এর মধ্যে সাগরে ডুবেই অন্তত ২১ হাজার মানুষ মারা গেছে। যাদের মধ্যে বেশ মানুষ বাংলাদেশি

এবিষয়ে ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচি জানায় যে, তাদের কাছে বন্দিশিবিরে নির্যাতনের কারণে মৃত্যু ও মুক্তিপণের জন্য হত্যার শিকার ব্যক্তিদের কোনো পরিসংখ্যান নেই।

শেয়ার..

আরো সংবাদ পড়ুন...
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | আলোর দেশ ২৪ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Developed By Radwan Ahmed