1. mumin.2780@gmail.com : admin : Muminul Islam
  2. Amenulislam41@gmail.com : Amenul :
  3. smking63568@gmail.com : S.M Alamgir Hossain : S.M Alamgir Hossain
খুলনার ময়ূর নদী প্রায় বিলুপ্তির পথে - আলোরদেশ২৪

খুলনার ময়ূর নদী প্রায় বিলুপ্তির পথে

  • প্রকাশিত : রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ২২২ বার দেখা হয়েছে



অনলাইন ডেস্ক নিউজ ::
রাজধানীর নয়াপল্টনের রাস্তা খুলে দেওয়া হলো
খুলনা শহরের কোল ঘেসে বয়ে চলা এক সময়কার দৃষ্টি নন্দিত ময়ূর নদী এখন ময়লার ভাগারে পরিণত হয়ে পানি পচে দুর্গন্ধে পরিবেশ দূষণ করছে।


অথচ এক সময় এই ময়ূর নদী দিয়ে বয়ে চলতো অসংখ্য লঞ্চ এবং সুন্দরবন থেকে গরান গোলপাতার বোঝাইকৃত পালতোলা গহনা নৌকা এসে খুলনার বিভিন্ন আড়তে গড়ান সুন্দরী সহ বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ এনে সরবরাহ করতো আর এতে উপকৃত হতো খুলনা অঞ্চলের মানুষেরা।


ময়ূর নদীটি খুলনা শহরের অন্যতম ভৈরব নদী থেকে সংযোগ হয়ে বটিয়াঘাটা নদীর মোহনায় এসে মিলিত হওয়ার কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বেপারীরা নৌকা যোগে এসে খুলনায় মোকাম করতে দেখা গেলেও সেটি এখন কালের সাক্ষী।


উল্লেখ্য খুলনা নগরীর ভৈরব নদী থেকে ময়ূর নদীর মাধ্যমে পানি উঠে শহর তলিয়ে যাওয়ার কারণে কেসিসির উদ্যোগে আলুতলা বাঁধ নির্মাণ করে পানির হাত থেকে শহর রক্ষা করলেও রক্ষা করতে পারেনি অতি প্রাচীন শহরের কোল গেছে বয়ে চলা নদীটিকে।
তার মূল কারণ হিসেবে স্থানীয় পুরাতন বাসিন্দারা বলছেন খুলনা ময়ূর নদীটি কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দখলে নদীর ৪ এর তৃতীয় অংশ ভরাট করে খেয়াল খুশি মতন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে বসেছে। এবং গল্লামারি কাঁচাবাজারের যত ময়লা আবর্জনা ফেলার একমাত্র স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে গল্লামারি ব্রিজের দুপারের মাছ মাংস তরিতরকারি সহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা।


এতে করে পরিবেশ যেমন দূষিত হচ্ছে তেমনি ময়ূর নদীটি ও তার চিরচেনা রূপ হারিয়ে চিরতরে বিলীন হয়ে যেতে বসেছে।
এক্ষেত্রে স্থানীয় নগরবাসীর সহ খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির পক্ষ থেকে খুলনা সিটি কর্পোরেশন বরাবর দরখাস্ত দিয়ে নদীটি পুনরুদ্ধার করার লক্ষ্যে খুলনা সিটি কর্পোরেশন এর ঊর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করলে তানারা আবেদনটি আমলে নিয়ে একটু নড়েচড়ে বসে সরজমিনে গিয়ে খুলনা সিটি মেয়র সহ ঊর্ধতন আরো সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ ময়ূর নদীটি প্রদর্শন কালে সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন এর আগে ২০১৪ সালে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নের শহরের পানি নিষ্কাশন ও জলবদ্ধতা নিরাশনের জন্য ময়ূর ও খুদে নদী দুটি নব্যতা ফিরিয়ে আনা সহ অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়েছিল।

অথচ নদী দুটির পার্শ্ববর্তী এলাকার কতিপয় মানুষেরা বাসা বাড়ির ময়লা আবর্জনা তরকারির খোসা কোরবানি ঈদের সময় পশু কোরবানি বর্জ্য নদীতে ফ্যালে। সাথে রয়েছে গল্লামারি ব্রিজ সংলগ্ন দুপারের কাঁচাবাজার সহ সকল ধরনের ময়লা আবর্জনা ও নোংরা বর্জ্য ফেলে নদীটি ভরাট করে ফেলেছে। আর এদের বার বার বারণ করা সত্বেও কোন নিষেধ কর্ণপাত না করে এদের খেয়াল খুশিমতো ময়লা আবর্জনা ফ্যালে।


সিটি মেয়র আরো বলেছেন নদীটি পুনরুদ্ধ কল্পে গত ২০২২ সালের নভেম্বর মাস নাগাত খুলনা সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক বিল বাজেট ঘোষণা করে নদীটি পুনরুদ্ধার ও সংস্কারের জন্য অচিরেই তৎপরতার সাথে কাজ চালিয়ে যাবে বলে মেয়র আশ্বাস দিয়েছিলেন ।
এদিকে নদী পুনরুদ্ধার কর্তৃপক্ষ বলছে মাত্র ৭ বছরের ব্যবধানে পুনরায় খনন করা হচ্ছে ময়ূর ও খুদে নদী। ইতোমধ্য নদী খননের লে-আউট এবং পূর্ব পরিমাপের কাজ চলছে নভেম্বর মাসেই নদী খননের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল।

এদিকে খুলনা সিটি কর্পোরেশন কেসিসি থেকে জানা গেছে জলবদ্ধতা নিরাসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নদী দুটি খনন করা হচ্ছে। ময়ূর নদী খননে কেসিসির ব্যয় হবে সাত কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এছাড়া খুদে খাল খননে ব্যয় হবে ৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা ।

এর আগে ২০১৪ সালে ৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা দিয়ে ময়ূর নদী পাঁচ হাজার ৯০০ মিটার খনন করা হয়। তখন কাজ করছিল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জামিল ইকবাল (জেভি)।
২০১৪ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি খনন কাজ শুরু হয়ে পরের বছরের ১০ই নভেম্বর শেষ হয়।
তবে বর্তমান মেয়রের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে এটা একটা অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল জলবদ্ধতা নিরাশন। দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বেই ৮২৩ কোটি টাকার জলবদ্ধতা নিদর্শন এ ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন হয়। এই প্রকল্পের আওতায় ময়ূর নদী ও খুদে নদী খনন হচ্ছে।

প্রকল্পের পরামর্শ প্রতিষ্ঠানের কাছ
থেকে জানা গেছে বয়রা শ্মশানঘাট এর ৮০ মিটার উজান থেকে সাচিবুনিয়া ব্রিজের ১০০ মিটার পূর্ব পর্যন্ত মোট ৫ হাজার ৯১০মিটার নদী কাটা হবে। গড়ে দুই থেকে ৮ ফুট পর্যন্ত নদীর খনন করা হবে। ময়ূর নদী বর্তমানে আড়ে ৬৩ ফুট থেকে ১৪৪ ফুট পর্যন্ত চওড়া রয়েছে। নদীর ৮৫ শতাংশ শক্ত মাটি। ৫০০ মিটার দূরে এবং ১৫ শতাংশ নরম পেড়ি মাটি ৫ কিলোমিটার দূরে রাখা হবে। শক্ত মাটির ৭৫ শতাংশ কাটা হবে ভেকু দিয়ে আর দশ শতাংশ কাটা হবে শ্রমিক দিয়ে।

সূত্রটি জানায় খুদে নদীর আরংঘাটা কালভার্ট থেকে শুরু হয়ে শ্মশানঘাট ব্রিজ থেকে ১০৭ মিটার দূর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার নদী খনন করা হবে। গত ৬ নভেম্বর নদী খননের লে আউট প্রদান করেন সিটি মেয়র।
কেসিসির প্রধান প্রকৌশলী ও জলবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন পাঁচ মাস আগে কার্যাদেশ দিলেও তখন ছিল বর্ষা মৌসুম এর জন্য কাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল। নভেম্বর মাসে শুরু থেকেই খনন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বর্তমান পূর্ব অবস্থা পরিমাপ চলছে চলতি মাসে খনন কাজ দৃশ্যমান হবে।

কেসিসির মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন আগেরবার কতটুকু মাটিকাটা হয়েছে তা কেউ দেখতে পায়নি। খনন কাজ দৃশ্যমান করতে নদীতে বাঁধ দিয়ে পানি শুকিয়ে ভেকু ও শ্রমিক দিয়ে মাটি কাটা হবে। খনন কাজে কোন ড্রেজার ব্যবহার করা হবে না। নদীর খননে কোন ধরনের ফাঁকি সহ্য করা হবে না।

শেয়ার..

আরো সংবাদ পড়ুন...
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | আলোর দেশ ২৪ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Developed By Radwan Ahmed