1. mumin.2780@gmail.com : admin : Muminul Islam
  2. Amenulislam41@gmail.com : Amenul :
  3. smking63568@gmail.com : S.M Alamgir Hossain : S.M Alamgir Hossain
ঘূর্ণিঝড় মোখা ধেয়ে আসছে - আলোরদেশ২৪

ঘূর্ণিঝড় মোখা ধেয়ে আসছে

  • প্রকাশিত : সোমবার, ৮ মে, ২০২৩
  • ১৭৩ বার দেখা হয়েছে



অনলাইন ডেস্ক নিউজ ::
খুলনায় বিএনপির সাথে পুলিশের সংঘর্ষে আহত ১২ আটক ৫
একদিকে যেমন ধেয়ে আসছে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় মোচা অপরদিকে নতুন করে চোখ সারা দেশে রাঙ্গাচ্ছে তপ্ত গরমের তীব্রতা ।
পুরো রমজান মাস থেকে শুরু করে বৈশাখের মাঝামাঝি পর্যন্ত গরমের দাবাদহে মানুষ অতিষ্ঠ প্রাণী কূল পর্যন্ত নাকাল অবস্থার মধ্যে নাভিশ্বাস উঠেছে নিম্নশ্রেণি দিনমজুরি রিকশাওয়ালা খেটে খাওয়া মেহনতী মানুষদের।

তবে ঈদের দিন থেকে খুলনা বিভাগের কয়েকটি জেলায় আবহাওয়া একটু স্বাভাবিক পর্যায়ে আসার কারণে মানুষ ও প্রকৃতির মাঝে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে আসলেও হঠাৎ করে বজ্রসহ ভারী শিলা বৃষ্টির কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বর্তমান মৌসুমের অন্যতম ফল আম লিচুসহ আরো অনেক ফসলের।

সাথে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে ফসলের মাঠে থাকা বেশ কয়েকজন কৃষকদের ।
তবে তীব্র গরমের হাত থেকে সপ্তাহ খানিক একটু স্বস্তির মধ্য থাকলেও হঠাৎ করে আবারও নতুন রূপে ধেয়ে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে গরমের থার্মোমিটারের পারদ।
এ বিষয়ে আবহাওয়া-বিদরা বলছে চলতি সপ্তাহে আবারো খুলনা বিভাগ জুড়ে ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।

তারই নমুনা গত ৬ তারিখ সকাল থেকে

আজ ৮ই মে সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা জেলা জুড়ে গরমের তীব্রতা ছিল শরীরে ফুশকা পড়ার মতো।
এদিকে আবার প্রায় গত একমাস যাবত বাংলাদেশ সহ পার্শ্ববর্তী অনেক দেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের শীর্ষ পর্যায়ের কর্তাদের সকল পর্যালোচনার ঊর্ধ্বে এখন ভয়ংকর অশনি সংকেত ঘূর্ণিঝড় মোচা।
যার চিন্তার ভাঁজ পরিলক্ষিত হচ্ছে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের কপালে।

তাদের তথ্য বিশ্লেষণ মতে বাংলাদেশের কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল ও দক্ষিণাঞ্চল খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে ১৭০ থেকে ২০০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ো হাওয়াটি বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ বিষয়ে খুলনা আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আমিরুল আজাদ বলেছেন ঝড়টি স্বাভাবিক পর্যায়ে আঘাত আনলেও সমুদ্র ও আশপাশের নদীগুলোতে পানি বাড়তে পারে ১০ থেকে ১২ ফুট আর যদি মোচার গতিবিধি আরো একটু বিক্ষিপ্ত হয় তাহলে বিপদ সীমা রেখার উপর দিয়ে অতিক্রম করে ২০ ফুট পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি পাবে যার কারণে নদী উপকূলীয় এলাকাগুলি অধিকাংশ পানি নিচে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ।
সাথে ঝড়ের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সুমন্দরবন উপকূলীয় এলাকা তথা সারা বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ অনেক অঞ্চল জুড়ে।

এবং নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষের জীবন রয়েছে ঝুঁকির মধ্য যে সকল এলাকায় ভেরিবাধ রয়েছে দুর্বল অবস্থায় সে সকল এলাকার মানুষেরা গবাদি পশু সহ নিজেদের জীবন নিয়ে রয়েছে হুমকির মুখে ।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোচার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকল নির্দেশনা অনুযায়ী সকল জেলা প্রশাসক দুর্যোগ মোকাবেলার মনিটরিং সেল গঠন করে দুর্যোগপূর্ণ এলাকার সকল আশ্রয় কেন্দ্র গুলো আগের থেকেই প্রস্তুত সম্পন্ন করে রাখার ব্যবস্থা করেছে।

উল্লেখ্য খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা গুলিতে প্রায় ৩৫ হাজারের মতন আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রের নিয়োজিত থাকবে উদ্ধারকর্মী হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পুলিশ কর্মকর্তা র্্যাব বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তাগণ।

তাছাড়া আশ্রয় কেন্দ্র গুলিতে শুকনা খাবার ও বিভিন্ন প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকসহ ঔষধের ব্যবস্থা রাখা হবে।
পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার সকল গবাদি পশু ও হাঁস মুরগিও নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র এনে রাখা হবে।

এক্ষেত্রে প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসক ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি ত্রানতহবিল ও জেলা প্রশাসকগণ ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এই সকল আশ্রয় কেন্দ্র গুলিতে সকল ধরনের ব্যবস্থা পর্যাপ্ত ভাবে রাখা হবে।
সে ক্ষেত্রে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য উদ্ধারকর্মীরা সর্বদা প্রস্তুত থাকবে।

তবে ঝড়ের গতিবিধির কথা শুনে খুলনা দক্ষিণ অঞ্চলের কয়রা দাকোপ রামপাল মোংলা বাগেরহাট এলাকার মৎস্য চাষীদের দুশ্চিন্তায় ঘুম হারাম হয়ে গেছে।

কারণ এসব এলাকার মৎস্য চাষিরা প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে বিদেশের রপ্তানি কৃত চিংড়ি গলদা বাগদা উৎপাদন করে বিভিন্ন দেশের সরবরাহের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব খাতে মোটা অংকের আয় বুঝে দেয় এই এলাকার মৎস্য চাষিরা।

তবে এক্ষেত্রে স্থানীয় মৎস্য চাষিরা বলছে আবহাওয়াবিদদের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী যদি ১০ থেকে ১২ ফিট পানি বৃদ্ধি হয়ে জলোচ্ছ্বাস আকারে ধেয়ে আসে সে ক্ষেত্রে মৎস্য ঘের সামাল দেয়ার কোন উপায় আমাদের কাছে নেই।

তখন খুলনা দক্ষিণ অঞ্চলের মৎস্য চাষীদের শত শত কোটি টাকা পানিতে ভেসে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকবে না।
এদিকে দাকোব কয়রা চালনার ১ নং পান খালি ইউনিয়নের ফেরিঘাট থেকে সুইচগেট পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকার পশুর নদী ভাঙ্গন কবলিত মানুষেরা এখনো আশ্রয়হীনভাবে খোলা আকাশের নিচে গবাদি পশু সহ মানবতার জীবনযাপন করছে।

এমত অবস্থায় আবারও যদি নতুন কোন বড় দুর্যোগে আঘাত হানে তাহলে তাদের অবশিষ্ট আর মাথা গোজার ঠাই কোথাও থাকবে না বলে দুঃখপ্রকাশ করেছে উল্লেখিত এলাকার সাধারণ অসহায় মানুষেরা।

তবে এ ব্যাপারে দাকোব উপজেলার চেয়ারম্যান মনসুর আলী খানের সাথে তানার মুঠোফোনে আলাপ করলে তিনি বলেন দুর্যোগ আসলেতো মোকাবেলা করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

তবে দাকোপ এলাকায় যতগুলো আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে সবগুলি প্রস্তুত করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে যাতে করে কোন মানুষের তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি না হয় সে ব্যাপারে তিনি গণমাধ্যমে জানিয়েছেন।

তাছাড়া দুর্যোগপূর্ণ এলাকার সকল স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,

সকল ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলার ক্ষেত্রে সকল অসহায় মানুষদের পাশে থেকে কাজ করার জন্য প্রস্তুত থাকতে ।

তবে খুলনা দক্ষিণ অঞ্চলের সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকার পাইকগাছা কয়রা সুতারখালী দাকোপ চালনা সহ বেশ কিছু এলাকার ভেরিবাধ এতটাই নাজুক অবস্থার মধ্যে রয়েছে সে গুলো সামান্য জলোচ্ছ্বাসের কারণে ভেঙে জনবসতি এলাকা পানিপ্লাবিত হয়ে শতভাগ ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

শেয়ার..

আরো সংবাদ পড়ুন...
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | আলোর দেশ ২৪ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Developed By Radwan Ahmed