অনলাইন ডেস্ক নিউজ ::
জাবিতে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে ধর্ষণ
সুনামগঞ্জে দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নে জমিজমা নিয়ে পূর্ববিরোধের জেরে দু”পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত এবং ২০জন আহত হয়েছেন । এ ঘটনায় পুলিশ ৬ জনকে আটক করেছে। নিহতের নাম মোঃ আনোয়ার হোসেন (৫০) ।
গতকাল ৫ই ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের উজানধল গ্রামের মাঠে দু”পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে তবে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ তাৎক্ষনিক উভয়পক্ষের ৬জনকে আটক করেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।
নিহত আনোয়ার হোসেন উজারধল গ্রামের মৃত আরিফ উল্লার ছেলে। আহতরা হলেন একই গ্রামের সুফি মিয়া, আবুল কালাম, সুজন মিয়া, মেহেদী হাসান, সানোয়ার মিয়া, টিটন মিয়া ও উজ্জল মিয়া। তবে বাকি আহতদের নাম ও পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃত আনোয়ার হোসেনের আপন ভাই সানোয়ার হোসেন, ওয়ারিদ মিয়া ও চাচাতো ভাই সুফি মিয়ার সাথে একই গ্রামের মনফর মিয়ার (নিহত আনোয়ার হোসেন আত্মীয়তা সম্পর্কে বিয়াই হওয়ার সুবাদে তাদের উভয়ের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধকৃত জমিতে রোববার ধান রোপণ করতে যান মনফর মিয়ার লোকজন এতে প্রতিপক্ষের লোকজন বাধা প্রদান করলে তাৎক্ষনিক উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
পরবর্তীতে গ্রামের সালিশদের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসলে ও জমিতে ধান রোপণকে কেন্দ্র করে সোমবার দুপুরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় ও দাড়াঁলো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এসময় নিহত আনোয়ার মিয়াসহ গ্রামের সালিশ ব্যক্তিরা সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টাকালে সালিশ আনোয়ার হোসেন গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আনোয়ার হোসেনসহ আহতদের তাৎক্ষনিক উদ্ধার করে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে নিয়ে আসার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনোয়ার হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন ডাক্তার।
এবিষয়ে দিরাই থানার ওসি (তদন্ত) রতন দেবনাথ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,লাশ ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ বিষয়টি অধিক গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দিরাই সার্কেল) শহিদুল হক মুন্সি জানান, নিহত আনোয়ার হোসেনের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে এবং সংঘর্ষের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাৎক্ষনিক কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।