কমলগঞ্জ প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে কৃষি জমিতে একজনকে আহত করার ঘটনার জের ধরে তার আত্নীয় স্বজনরা ঐ ব্যক্তির বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে বাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে প্রতিপক্ষ। পরে উভয় পক্ষ থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ। গত বুধবার রাতে উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের কাটাবিল গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। তবে এঘটনাটিকে নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধূম্রজাল। থানায় দুপক্ষের অভিযোগকারীরা বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে সাংবাদিকদের ফেলেছেন বিভ্রান্তিতে।
ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে একদল সংবাদকর্মীরা সরজমিনে গেলে উভয়পক্ষই বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে বিষয়টি ঘোলাটে করার চেষ্টা করেন। কেউ বলছেন, টাকা সংক্রান্ত, কেউ বলছেন নারী সংক্রান্ত, আবার কেউ বলছেন পূর্ববিরোধের জের ধরে, আবার স্থানীয়রা বলছেন দুজনই মদ খেয়ে মাতাল হয়েই মারামারির ঘটনাটি ঘটেছে। তবে এ ঘটনার জেরে হেলন মিয়ার ঘরে হামলা চালানোর ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে মারামারির ঘটনায় আহত হওয়া জমির মিয়া (৩৫) কে উদ্ধার করা ৫ ব্যক্তি সাথে কথা বললে ৫ জনই আলাদা আলাদা ভাবে উদ্ধারের বর্ণনা দেন। এতে পড়তে হয় বিভ্রান্তিতে। ৫ জনের দাবী তারা আলাদা ভাবেই জমিরকে উদ্ধার করেছেন।
কাটাবিল গ্রামের মৃত আলাউদ্দীন মিয়ার ছেলে হেলন মিয়া বলেন, ‘আমি তিন হাজার টাকা দিয়ে মোবাইল বিক্রি করেছি জমির মিয়ার কাছে ১হাজার ৯শত টাকা। সে আমাকে ১১শত টাকা দিয়েছে, বাকি টাকা চাইতে গিয়ে তার সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। একজন আমাদের মারামারি ভাঙিয়ে দিলে আমরা যার যার ঘরে চলে যাই, পরে রাতে জমির মিয়া তার আত্নীয় স্বজন নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায়।
হাসপাতালে চিকিৎসারত আহত জমির মিয়া জানান, ‘পূর্ব শত্রুতার জেরে তার চাচা পচন মিয়ার চক্রান্ত বাড়ির বাইরে ডেকে নিয়ে তার এবং তার ভাই আব্দুল আহাদের উপস্থিতিতে তার উপর হামলা চালায়। প্রথমে পছন মিয়া তার উপর হামলা করে। আহাদ ও হেলন তাকে এলোপাতাড়ি ভাবে মেরে আহত করেছে। হেলন আমার কাছে কোনো মোবাইল বিক্রি করেনি। মোবাইল বিক্রি করেছে আমার ছোট বোনের স্বামীর কাছে। সে নগদ টাকা দিয়েই ফোনটি ক্রয় করছে। মোবাইলের টাকা পাওয়ার কথা সম্পুর্ন মিথ্যা। এটা পূর্বপরিকল্পিত।
তবে সরজমিনে সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে আলাপ করলে পছন মিয়ার এ ঘটনায় জড়িত থাকার কোন সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য কাদির মিয়ার সাথে আলাপ কালে তিনি জানান, ‘হেলন মিয়া ও আহত জমির মিয়া দু’জনই আমার নাতী হয়। একই গ্রামের তারা দু’জন সম্পর্কে মামাতো ফুফুতো ভাই। জমির বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে সে সুস্থ হলে আমরা নিজেরা বসে বিষয়টি মীমাংসা করে দিবে।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, এই বিষয়ে তদন্তক্রমে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।