অনলাইন ডেস্ক নিউজ ::
ভারত-পাকিস্তান কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে চলমান উত্তেজনা এবং পাল্টাপাল্টি হামলার কারণে দক্ষিণ এশিয়ার আকাশপথে অনিরাপত্তা চরমে পৌঁছেছে। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশগামী আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলের উপর। বুধবার (৭ মে ২০২৫) ভারতের আকাশপথে ঝুঁকির কারণে মাঝ আকাশ থেকেই ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে দু’টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটকে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায় যে, ফেরত যাওয়া ফ্লাইট দুটি হলো—তুরস্ক থেকে ঢাকামুখী তার্কিশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট (TK-712) এবং কুয়েত সিটি থেকে আসা কুয়েত এয়ারওয়েজের ফ্লাইট (J-9533)। ফ্লাইটদুটি পাকিস্তানের আকাশপথ ব্যবহার করে ভারতের উপর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের কথা থাকলেও সংঘাতের আশঙ্কায় রুট পরিবর্তন করে গন্তব্যে পৌঁছায়নি।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং সাইট ফ্লাইটরাডার২৪ জানায় যে, তার্কিশ এয়ারলাইন্সের TK-712 ফ্লাইটটি বাংলাদেশে না এসে ওমানের মাসকটে জরুরি অবতরণ করে। অন্যদিকে কুয়েত এয়ারওয়েজের ফ্লাইটটি উড্ডয়নের দেড় ঘণ্টা পর নিজ দেশে ফিরে যায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার জেরে ভারত পাকিস্তানে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। জবাবে পাকিস্তান ভূপাতিত করেছে ভারতের দুটি যুদ্ধবিমান। হামলায় শিশুসহ অন্তত ৩ জন নিহত এবং আরও ১২ জন আহত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এক্সে দেওয়া বার্তায় ভারতের হামলাকে ‘যুদ্ধের পদক্ষেপ’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান এবং উপযুক্ত জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীও জানিয়েছে, তারা ভারতের ‘কাপুরুষোচিত’ হামলার কড়া জবাব দিচ্ছে।
এই উত্তেজনার মধ্যে ভারত সরকার ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামের সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে জানায়। অভিযানের আওতায় পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে হামলার পর এক্স অ্যাকাউন্টে লেখা হয়: “ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়েছে। জয় হিন্দ।”
উল্লেখ্য যে, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। সেই ঘটনার পর থেকেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, যা এখন সরাসরি সামরিক সংঘাতে রূপ নিয়েছে এবং এর প্রভাব আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলেও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
তথ্য ও ছবি সংগ্রহ।