1. mumin.2780@gmail.com : admin : Muminul Islam
  2. Amenulislam41@gmail.com : Amenul :
  3. smking63568@gmail.com : S.M Alamgir Hossain : S.M Alamgir Hossain
শিমুলের সৌন্দর্যে সেজেছে প্রকৃতি - আলোরদেশ২৪
সংবাদ শিরোনাম :
লাউয়াছড়া সড়কে গাছ ফেলে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, আহত ১৫ দলের জন্য সবসময় কাজ করবো, মোশারফ কমলগঞ্জে কমলকুঁড়ি পত্রিকার ১৫তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে ধলাই নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম, ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিরক্ষা বাঁধ কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া বনে গাছের সাথে কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কা,অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা কমলগঞ্জে হতদরিদ্রদের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ জিসপ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হলেন এম এ মুহিত মৌলভীবাজারে পীরের বাড়ি থেকে দেশি অস্ত্র উদ্ধার, আটক-২ কমলগঞ্জে চৌধুরী ফাউন্ডেশনের মেধা বৃত্তি প্রদান কুলাউড়ায় এসএলটিএস এর উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মধ্যে খাদ্য সমগ্রী বিতরণ

শিমুলের সৌন্দর্যে সেজেছে প্রকৃতি

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৯০ বার দেখা হয়েছে

কমলগঞ্জ, প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ঋতুরাজ বসন্তের শুরুলগ্নেই গ্রাম বাংলার প্রকৃতিতে রাঙিয়ে ফুটছে শিমুল ও পলাশ ফুল। নানা ছন্দে কবি সাহিত্যিকদের লেখার খোরাক যোগায় রক্ত লাল এই শিমুল ফুল। মাঘ মাস এর প্রায় শেষ মূহর্তের শুষ্ক প্রকৃতির মাঝে এক অনন্য রঙের ছোঁয়া নিয়ে উঁকি দিচ্ছে শিমুল ফুল। আগুন রঙা শিমুল ফুল যেন বসন্তের আগমনী বার্তা নিয়ে আসছে। চারিদিকে আলো ছড়াচ্ছে রৌদ্রোজ্জ্বল দিন। বাতাসে ভাসছে আনন্দ-আভা। এমন দিনে ভালোবাসার ডাক শুনে জেগে উঠেছে মনপ্রাণ। প্রকৃতি একাকার হবে জাগরণে। কিন্তু নানা কারণে এখন শিমুল গাছ রোপণ করা হয় না।কালের বিবর্তনে এই গাছ এখন বিলুপ্তির পথে।

সড়জমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার প্রধান সড়কে ফুটন্ত ফুলের রক্তলাল পলাশ-শিমুল গাছ। অন্যদিকে ঋতুরাজ বসন্তে এখন আর হরহামেশাই চোখে পড়ে না রক্তলাল শিমুল গাছ। প্রত্যান্ত গ্রামঞ্চলে গুটি কয়েক শিমূল গাছে ফুল দেখা গেলেও বর্তমানে কালের বিবর্তনে গ্রাম বাংলার বুক থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে তা।

গাছে গাছে সবুজ পাতা, মুকুল আর ফুল আর কোকিলের ডাক মনে করিয়ে দেয় বসন্তের আগমনী বার্তা। আম কাঁঠালসহ, লিচু লেবু ও বিভিন্ন গাছের পাতা ও মুকুল দেখে বোঝা যায় শীত বিদায় নিয়ে আবার এলো ফাগুন, এলো বসন্ত। কিন্তু কালের বিবর্তনে গ্রাম বাংলার প্রকৃতি থেকে এখন বিলুপ্তির পথে মূল্যবান শিমুল গাছ। তাই আগের মতো খুব একটা চোখে পড়ে না ফাগুনের রঙে রাঙানো রক্তলাল শিমুল গাছ। গ্রামে শিমুল গাছ ঔষধি গাছ হিসেবেও পরিচিত।

কিন্তু এখন আর শিমুল গাছ কেউ রোপণ করে না। শিমুল গাছ এমনিতেই জন্মায় তা দিনে দিনে বড় হয়ে একদিন বিশাল আকৃতি ধারণ করে। বসন্তে শিমুল গাছে রক্ত কবরী লাল রঙে ফোটে তোলে, দৃষ্টি কেড়ে নেয় সবার মন। কিছুদিন পরে রক্তলাল থেকে সাদা ধুসর হয়ে তুলার তেরি হয়। গ্রাম বাংলার এই শিমুল গাছ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এনে দিতো। গ্রামের মানুষেরা এই শিমুলের তুলা কুড়িয়ে বিক্রি করতো। অনেকে নিজের গাছের তুলা দিয়ে বানাতো লেপ, তোষক, বালিশ। শিমুলের তুলা বিক্রি করে অনেকে স্বাবলম্বী হয়েছে, এমন নজিরও আছে। তবে কালের বিবর্তনে আগের মতো তেমন চোখে পড়ে না শিমুল গাছের। প্রতিনিয়ত বিলুপ্তি হয়ে যাচ্ছে শিমুল গাছ। যার কারণে গ্রাম বাংলার বুক থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে, অতি চিরচেনা শিমুল।

কমলগঞ্জ সরকারি স্কুলের বাংলার শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘বসন্ত মানেই শিমুল ও পলাশ ফুল। এবারের বসন্তে ঘুরে আসতেই কমলগঞ্জ উপজেলায় শিমুল গাছগুলোতে আগুন রাঙা নতুন রূপে সেজেছে প্রকৃতি। সহৃদয়ের ব্যাকুলতা নিয়ে এসেছে বসন্ত। তিনি আরও বলেন, শিমুল গাছ ঔষধি গাছ হিসেবেও পরিচিত ছিল। বর্তমানে শিমুল গাছ বিলুপ্তের পথে।’

কমলগঞ্জের লেখক ও গবেষক আহমদ সিরাজ বলেন, ‘শিমুল ফুল না ফুটলে যেন বসন্ত আসে না। বাংলাদেশের ভৌগলিক পরিবেশের সঙ্গে সংস্কৃতি চর্চার একটি যোগ সূত্র রয়েছে। গান কবিতা নাটকে বাংলার প্রকৃতি উঠে আসে বারবার। ঠিক সেভাবে বসন্ত এলেই চলে আসে শিমুলের কথা। গাছে গাছে এখন শিমুল ফুল। আমাদের ঋতু বৈচিত্রের এসব অনুসঙ্গকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্বও আমাদের।’

শেয়ার..

আরো সংবাদ পড়ুন...
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | আলোর দেশ ২৪ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Developed By Radwan Ahmed