মোঃ মহিউদ্দিন খান. কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি।। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমশেরনগর ইউপির শিংরাউলী গ্রামের মৃত তজমুল আলীর ছেলে জুয়েল আহমেদ (৩৫) পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের কিলঘুষিতে মাটিতে পড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার (২১শে জুন) বেলা সোয়া ১২টায় উপজেলার শমশেরনগর- ভানুগাছ রোডে রাফসান ফুডের সামনে হামলা হয়।
কমলগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নগদ অর্থ প্রদান
খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে, শমশেরনগর বাজারের সিএনজি চালক আহাদ মিয়ার পরিবারের সাথে একই এলাকার মুকুল মিয়ার পরিবারের পূর্ব বিরোধ ছিল। এ বিরোধের জের ধরে আহাদ মিয়ার সদ্য বিদেশ ফেরত ছেলে মুন্না মিয়া ও তার আত্মীয় তুরন মিয়ার নেতৃত্বে একদল যুবক এসে মুকুল মিয়ার ছেলে বাপ্পাকে মারধোর করতে থাকে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল আহমেদ ও সাবেক ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন ও আব্দুল মোহিত সন্ধ্যায় সামাজিকভাবে বসে এ ঘটনার সমাধানের আশ্বাস দেন। এতে প্রাথমিকভাবে উত্তেজনা বন্ধ হয়।
কমলগঞ্জে হত্যা মাললার আসামী জামিনে এসে বাদিকে হত্যার চেষ্টা
পরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেলা সোয়া ১২টায় শমশেরনগর চৌমুহনা সিএনজি অটো চালক সমিতিরি দুই জন চালকের সাথে তর্কাতর্কি শুরু হয়। তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের কিল ঘুষিতে মাটিতে পড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে জুয়েল আহমেদ প্রাণ হারান। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে দ্রুত কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুন্না সিনহাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানার পুলিশ লাশের সুরতহাল তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
নিহতের চাচাতো ভাই সোহেল আহমেদ অভিযোগ করে বলেন যে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। সিএনজি অটো চালক মুন্না মিয়া ও তুরণ মিয়াসহ একটি সংঘবদ্ধ দল সকালে প্রথম দফা জুয়েলের বন্ধুর ছেলে বাপ্পাকে মারপিট করে। পরবর্তীতে আবার তারা সিএনজি চালক শারফিন মিয়ার নেতৃত্বে তর্কবিতর্ক শুরু করে জুয়েলকে কিল ঘুষি মারলে সে ঘটনাস্থলেই পড়ে মারা যায়। এ ঘটনায় তারা কমলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করবেন বলে জানান।
কমলগঞ্জে বালু মহাল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৯ জন আহত
এবিষয়ে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন যে, ঘটনাস্থলের একটি দোকানের সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত করা হচ্ছে। সিসি টিভি ফুটেজ দেখে মানুষজনকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। মামলা হলে এ ফুটেজ দেখে প্রকৃত আসামীদের গ্রেপ্তার করা হবে।