মোঃমহিউদ্দীন খাঁন, কমলগঞ্জ(মৌলভীবাজার)প্রতিনিধি।।
ইতিমধ্যে দেশে প্রায় ২৫ কোটি মানুষ কোভিড১৯ এর ভ্যাকসিন (Covid Vaccine) নিয়ে ফেলেছেন। আর ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেই অনেকের নানা ধরনের উপসর্গ (Side effect) দেখা যাচ্ছে।
বিশেষ করে জ্বর (Fever), গা হাত পা ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা, চোখের পিছনে ব্যথার মতো উপসর্গ বহু মানুষের হচ্ছে। উপসর্গ থাকছে প্রায় দুই থেকে চারদিন। অন্যদিকে কিছু কিছু ব্যক্তি জানাচ্ছেন, তাঁদের শরীরে কোনওরকম উপসর্গই হচ্ছে না! কেন এমন হচ্ছে?অধ্যাপক ডাঃ জ্যোতির্ময় পাল জানাচ্ছেন, ভ্যাকসিন কিন্তু সংক্রমণকে নকল করে। ফলে ভ্যাকসিন শরীরে সাধারণ সংক্রমণের মতোই উপসর্গ তৈরি করে। তবে মূল রোগটি হয় না। অর্থাৎ ভ্যাকসিন শরীরে ঢোকার পর শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে শরীরে ইন্টারলিউকিনস, কেমোকাইনস, লিম্ফোকাইনস-এর মতো ইমিউনো মিডিয়েটার বেরতে শুরু করে।
স্বপরিবারে করোনায় আক্রান্ত মীর নাহিদ আহসান
এই ধরনের ইমিউনো মিডিয়েটার মূলত জীবাণুর প্রতি প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে। আবার নানা ধরনের রোগপ্রতিরোধী ক্ষমতার জন্য দায়ী কোষকে জীবাণুর সম্পর্কে খবরও পৌঁছে দেয়। ইমিউনো মিডিয়েটারের প্রভাবেই আসে জ্বরের মতো উপসর্গ। এখন কারও কারও ক্ষেত্রে এই ধরনের ইমিউনো মিডিয়েটার কম বেরয়, কারও বেশি বেরয়। আবার কারও ক্ষেত্রে বেরয়ই না। সেক্ষেত্রে জ্বরও আসে না। এই কারণেই কিছু কিছু বয়স্ক মানুষ, যাঁদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা খানিকটা কমজোরি হয়ে পড়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে ইমিউনো মিডিয়েটারও সামান্য মাত্রায় বেরয়।
ঘুমন্ত স্ত্রীকে পুড়িয়ে দিলো স্বামী
ফলে উপসর্গও তেমন হতে দেখা যায় না। অন্যদিকে কমবয়সিদের রোগপ্রতিরোধী ক্ষমতা বেশি থাকায় ইমিউনো মিডিয়েটার বেরয় অনেকটা মাত্রায়। শরীরে প্রতিক্রিয়া বা উপসর্গও বেশি হতে দেখা যায়। তবে উপসর্গ থাকুক আর না থাকুক, শরীরে ভ্যাকসিন ঢুকলে তা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। তাই ভ্যাকসিন নিতেই হবে।