কমলগঞ্জে ডাক্তারের অবহেলায় সাপের কামড়ে মহিলার মৃত্যু
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি।।
বাবাকে হত্যার পর ভারতে পালানোর চেষ্টাকালে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন ঘাতক ছেলে জহিরুল ইসলাম (৩১)।
বুধবার (১লা জুন) বিকেল পৌনে ৬টায় কমলগঞ্জের শমসেরনগর ইউনিয়নের ডাবলছড়া সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করে কমলগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) পবিত্র শেখর দাস জানান, জহিরুল ইসলাম ডাবলছড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্ঠা করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে ডাবলছড়া বাগানের বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া জহিরুলের বিরুদ্ধে তার পিতৃ হত্যার মামলা রয়েছে।
এ মামলার বাদী তার বড় বোন মরিয়ম বেগম।
২৯শে মে মধ্যরাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার আদমপুরের কেওয়ালীঘাট গ্রামে জহিরুল ইসলামের ধারালো খন্তির আঘাতে তার বাবা গফুর মিয়া (৫৫) ও মা আছাতুন নেছা (৪৮) গুরুতর আহত হন।
তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে নেওয়ার পথে পথিমধ্যে মারা যান গফুর মিয়া। আছাতুন নেছার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।তিনি এখনো ওসমানী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনার পর মাদকাসক্ত ছেলে জহিরুল ইসলাম পালিয়ে যায়।
পরদিন ৩০ মে এ ঘটনায় নিহতের বড় মেয়ে মরিয়ম বেগম বাদী হয়ে কমলগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়ারদৌস হাসান বলেন, ঘটনার পর থেকে পুলিশ তাকে হন্যে হয়ে খোঁজছিল। তাকে ধরতে বিভিন্ন সীমান্তে নজর রাখা হচ্ছিল।সোর্সের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই তার সন্ধান মেলেন। ডাবলছড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় ওঁৎ পেতে থাকা পুলিশ তাকে গ্রেফতার।