1. mumin.2780@gmail.com : admin : Muminul Islam
  2. Amenulislam41@gmail.com : Amenul :
  3. smking63568@gmail.com : S.M Alamgir Hossain : S.M Alamgir Hossain
মৌলভীবাজারে স্বস্তির বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরছে চা বাগান ও গাছ গাছালির - আলোরদেশ২৪
সংবাদ শিরোনাম :
কমলগঞ্জে কমলকুঁড়ি পত্রিকার ১৫তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে ধলাই নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম, ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিরক্ষা বাঁধ কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া বনে গাছের সাথে কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কা,অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা কমলগঞ্জে হতদরিদ্রদের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ জিসপ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হলেন এম এ মুহিত মৌলভীবাজারে পীরের বাড়ি থেকে দেশি অস্ত্র উদ্ধার, আটক-২ কমলগঞ্জে চৌধুরী ফাউন্ডেশনের মেধা বৃত্তি প্রদান কুলাউড়ায় এসএলটিএস এর উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মধ্যে খাদ্য সমগ্রী বিতরণ কমলগঞ্জে স্কুল শিক্ষিকাকে কুপিয়ে হত্যা করল বকাটে  সাগর স্বৈরাচার সকল ছিদ্র বন্ধ করলেও তার পতনের ছিদ্র বন্ধ করতে পারেনি, ডাঃ শফিকুর রহমান

মৌলভীবাজারে স্বস্তির বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরছে চা বাগান ও গাছ গাছালির

  • প্রকাশিত : রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৬৬ বার দেখা হয়েছে

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি:
চায়ের রাজ্যধানী হিসেবে পরিচিত মৌলভীবাজার। দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির পর কয়েক দিন থেকে প্রাণ ফিরেছে মৌলভীবাজারের চা বাগানগুলোতে। বৃষ্টির ফোঁটা গায়ে লাগিয়ে দুটি পাতার একটি কুঁড়িতে ভরে উঠেছে চা গাছগুলো। চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রচন্ড তাপে ঝলসে গিয়েছিল বাগানের অধিকাংশ চা গাছ। অনেক স্থানে শুরু হয়েছিল লাল রোগের প্রাদুর্ভাব। চা উৎপাদন শুরুর মৌসুমেই মৌলভীবাজার জেলার ৯২টি চা বাগানে কমে যায় চা উৎপাদনের গতি। তবে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিপাতে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটতে শুরু করেছে। বৃষ্টির দেখা মিললেও ভালো উৎপাদন হবে বলে মনে করছেন না বাগান মালিক।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে জেলার কয়েকটি চা বাগান ঘুরে এমন দৃশ্যই দেখা গেল। এতে হাসি ফুটেছে চা বাগান সংশ্লিষ্টদের মুখে। এখন বাগান রক্ষায় কৃত্রিম পানি দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন বাগান কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরে (২০২৫ সালে) চায়ের উৎপাদন লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৩ মিলিয়ন কেজি।

২০২৩ সালে ১০৩ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়। আর ২০২৪ সালে হয় ৯৩ মিলিয়ন কেজি। যা লক্ষমাত্রার চেয়ে ১০% কম ছিল। দেশে নিবন্ধনকৃত চা বাগান রয়েছে ১৬৮টি। পাশাপাশি পঞ্চগড়ে রয়েছে ক্ষুদ্রায়িত অনেকগুলো চা বাগান। পঞ্চগড় ও দেশের ১৬৮টি চা বাগান মিলিয়ে ২০২৫ এর লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৩ মিলিয়ন কেজি। প্রকৃতি নির্ভর একটি কৃষিজ পণ্য চা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চায়ের উৎপাদনও ভালো হয়। এর জন্য প্রয়োজন পরিমিত বৃষ্টি ও সূর্য কিরণ।

প্রায় ৪ মাস আগে থেকেই চা বাগানের সেকশনগুলোতে চা গাছ ছাঁটাই করার কাজ শুরু করেছিল বাগান কর্তৃপক্ষ। ছাঁটাইয়ের কারণে চা বাগানে চলে এসেছিল রুক্ষ শুষ্কভাব। চা বাগানের জন্য সহনীয় তাপমাত্রার সীমা পেরিয়ে গেলে বিপত্তিতে পড়েন বাগান-সংশ্লিষ্টরা। বৃষ্টির অভাবে রুক্ষ বাগানে নতুন পাতার দেখা যাচ্ছিল না খুব একটা। এর মাঝে বিভিন্ন পোকামাকড়ের আক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সামান্য যা কুঁড়ি-পাতা ছিল তাও আক্রান্ত হতে শুরু করে।

অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি পড়ল জেলার চা বাগানগুলোতে। এতে বাগান কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকরা অনেকটাই খুশি হয়েছেন। দু’ এক দিনের মধ্যে আবারও বৃষ্টি দেখা দিলে ভাল ফলনের সম্ভাবনার পাশাপাশি আপাতত বাগান রক্ষায় কৃত্রিম পানি দেওয়া প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন বাগান কর্তৃপক্ষ। চলতি মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়ায় দুশ্চিন্তা বাড়ছিল জেলার ৯২টি চা বাগানের মালিক-শ্রমিকদের। অনেক বাগানের চা পাতা পুড়ে যায়।

ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) মাধবপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপক দিপন কুমার সিংহ জানান, ‘চায়ের জন্য বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতির পাশাপাশি প্রকৃতির উপরও নির্ভর করতে হয়। চায়ের জন্য মূলত প্রয়োজন পরিমিত বৃষ্টিপাত ও সূর্যের আলো। সকাল, বিকাল ও সন্ধ্যায় এই সময়ে যদি বৃষ্টি হয় তাহলে চায়ের জন্য বড় উপকার। তাছাড়া বর্ষায় যদি অতি বৃষ্টি হয় তাও চায়ের জন্য ক্ষতিকর। আবার প্রচ- তাপদাহ হলে তাও ক্ষতিকর। যে কারণে এর জন্য কিছুটা প্রকৃতির উপর তো নির্ভর করতেই হয়।

তিনি আরও বলেন, ৮-১০দিন পর যেসব গাছে নতুন পাতা এসেছে সেই গাছগুলো থেকে পাতা তুলার কাজ শুরু করবো। আবার অনেক গাছ থেকে আরও দেরিতে পাতা তুলতে হবে। তবে খরায় যেসব গাছের পাতা নষ্ট হয়েছে, আশা করছি দ্রুত সময়ের ভিতরে পুষিয়ে নিতে।’

শ্রীমঙ্গল ইস্পাহানী জেরিন চা বাগানের উপ-মহাব্যবস্থাপক সেলিম রেজা জানান, খরা প্রথম দিকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল। তবে এখন কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।

ন্যাশনাল টি কোম্পানীর ডিজিএম শফিকুর রহমান (মুন্না) বলেন, ‘বৃষ্টিতে বাগানগুলো প্রাণ ফিরে পেয়েছে। কাঙ্খিত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে ভালো ফলনের সম্ভাবনার পাশাপাশি আপাতত বাগান গুলোতে কৃত্রিম পানি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে অনাবৃষ্টির কারনে ও তীব্র খরায় মৌসুমের শুরুতেই অনেক ক্ষতি হয়ে গেল, ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগানের মালিক ও ন্যাশনাল টি কোম্পানীর পরিচালক মো. মহসীন মিয়া মধু জানান, ‘দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর বৃষ্টির দেখা মিললেও সেটা তেমনটা ভালো হবে বলে আমার মনে হচ্ছে না। তার কারণ, বৃষ্টি আসলেও অনেকগাছ খড়ায় মারা গেছে, সেসব গাছ থেকে পাতা পাওয়া সময়ের ব্যাপার। এছাড়াও আমার তো নিজস্ব বাগান কিন্তু ন্যাশনাল চা বাগানগুলোর অবস্থা আরও খারাপ। অনেক স্থানে শুরু হয়েছিল লাল রোগের প্রাদুর্ভাব। সেসবগুলো থেকে পাতা আসতে অনেক সময়েরও ব্যাপার। শ্রমিক ও কর্মচারীদের বেতন দিতে কতৃপক্ষ বর্তমানে হিমশীম খাচ্ছে। চাপাতা ও মরাগাছগুলো ঠিক হতে মাস দেরমাস সময় লাগবে। বৃষ্টি আসলেও চা উৎপাদনের জন্য আমার মতে মঙ্গল হবে না।’

বাংলাদেশীয় চা সংসদের (বিসিএস) সিলেট অঞ্চলের চেয়ারম্যান জিএম গোলাম মোহাম্মদ শিবলি জানান, ‘দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় ও তাপমাত্রা বেশি থাকায় উৎপাদন কমে গিয়েছিল। এই বৃষ্টিপাতের ফলে চা গাছগুলো সজীবতা ফিরে পেয়েছে।’

শেয়ার..

আরো সংবাদ পড়ুন...
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | আলোর দেশ ২৪ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Developed By Radwan Ahmed