1. mumin.2780@gmail.com : admin : Muminul Islam
  2. Amenulislam41@gmail.com : Amenul :
  3. smking63568@gmail.com : S.M Alamgir Hossain : S.M Alamgir Hossain
কমলগঞ্জে অবৈধ বালু উত্তোলন - আলোরদেশ২৪

কমলগঞ্জে অবৈধ বালু উত্তোলন

  • প্রকাশিত : রবিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৩
  • ২২৫ বার দেখা হয়েছে

মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি ::

কমলগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের সম্রাট যুবলীগ নেতা আবুল বশর জিল্লু।

২০২২ সালে পতনউষা ইউনিয়নের শহিদনগর বাজারের রাস্তার কাজের অনিয়মের ছবি ও ভিডিও সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় সেই কাজে অনিয়মের মুলহুতা হিসাবে আবুল বশর জিল্লু এর নাম আসে।

মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের অর্থায়নে রহিমপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামে রাস্তা কাজে অনিয়মের অভিযোগে প্রতিবাদ করে এলাকায় বাসি এই আবুল বশর জিল্লু বিরুদ্ধে।

ধলাই নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে আসছেন ‘বালুখেকো’ আবুল বশর জিল্লু।

তার অবৈধ কাজে বাঁধা দিলেই বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত করে হায়রানি শুরু করেন।

সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর এলাকায় ধলাই নদীর তীরের কাছাকাছি অনেক পরিবারের বসবাস। মির্তৃঙ্গা সড়কে ধলাই নদীর ওপর নির্মিত স্টিলের ব্রিজের পূর্বদিকে ধলাই নদীর প্রথম খণ্ডাংশ ইজারা নিয়ে অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলন আইন না মেনে অবৈধ ভাবে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে ৩-৪ টি ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন ‘বালুখেকো’ আবুল বশর জিল্লু।

আরও দেখা গেছে, নদীর বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙনে নদীর তীর ধীরে ধীরে বিলীন হচ্ছে। ফলে বেশ কয়েকটি বসতঘর নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। সেই সঙ্গে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে অতিরিক্ত শব্দ দূষণে দিশেহারা ধলাই নদীর আশপাশের তীরবর্তী বসতবাড়ির মানুষগুলো অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ফলে পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জনজীবনে দেখা দিচ্ছে মারাত্মক হুমকি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন মানছেন না ইজারাদাররা। আইন অনুযায়ী সেতু, কালভার্ট, অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা থাকলে সে এলাকা থেকে সর্বনিম্ন এক কিলোমিটার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত সীমানার মধ্যে বালু উত্তোলন করতে হবে। অথচ আমাদের এলাকায় ব্রিজের এক কিলোমিটারের মধ্যেই অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের ফলে নদী তীরের বেশ কয়েকটি বসতঘর নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে।

কমলগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার মো: রইছ আল রেজুয়ান এ বিষয়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন মেনে ইজারাদারকে নদী থেকে বালু উত্তোলন করতে হবে। রহিমপুরের অবৈধ ও অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এবিষয়ে মোঃ আবুল বশর জিল্লু এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন যে, আমার নামে ধলাই নদীর বালু মালের ইজারা একথা সঠিক। আমি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নদী থেকে বালু উত্তোলন করছি। যদি সরকারি নিয়ম নামানি তাহলে আমার ইজারা বাতিল হয়ে যাবে। তাই সরকারের নিয়মের বাহিরে যাওয়া যাবে না। আমার বিরুদ্ধে যারা অপপ্রচার চালাছে তাদের বিরুদ্ধে আমি আইনের আশ্রয় নেব।

তিনি আরও বলেন যে, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট কিছু তথ্য প্রকাশ হয়েছে। যাহার কোন সঠিক ভিত্তি নাই। শহিদ নগর বাজারে কাজের ঠিকাদার ছিলেন কুলাউড়া উপজেলার গিলমান স্থানীয় ভাবে কাজ করান আদমপুরের আনোয়ার হোসেন, ধর্মপুর গ্রামে জেলা পরিষদের কাজ আমি করি নাই। তাহলে কেন তারা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাছে আপনারা বুঝেননা কেন। তারা আমার কাছে ২ লক্ষ্য টাকা চায়, আমি দিতে না চাইলে তারা আমার বিরুদ্ধে এই অপপ্রচার চালায়।
এই ঘাটে আমাকে বালু তুলতে দিবেনা বলে হুমকি দিচ্ছে।

শেয়ার..

আরো সংবাদ পড়ুন...
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | আলোর দেশ ২৪ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Developed By Radwan Ahmed