কমলগঞ্জে উপজেলা পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি।।
আওয়ামী পরিবারে জন্মগ্রহণ করা হামিম মাহমুদ জয়ের রাজনীতির হাতেখড়ি সেই স্কুল লাইফ থেকে।একদম তৃণমূল পর্যায় থেকে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন হামিম মাহমুদ জয়। ছাত্রলীগের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার রয়েছে তার।
১৯৪৯ সালে আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে কমলগঞ্জে গোটা কয়েক আওয়ামীলীগ পরিবারের মাঝে কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী হামিম মাহমুদ জয়ের পরিবার অন্যতম। হযরত হানিফ শাহ রঃ) ইসলাম প্রচারের পাশাপাশি আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আওয়ামীলীগের জন্য কাজ করতেন,কমলগঞ্জ বাজারের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী আব্দুল মন্নান ( ডাক নাম চাঁন উল্লাহ মহাজন)ছিলেন একজন আওয়ামীলীগের নিবেদিত প্রাণ ও ওয়ার্ড আওয়ামীগের সভাপতি এবং তৎকালীন ছাত্রলীগকে যে কয়েকজন পৃষ্ঠপোষক করতো চাঁন উল্লা মহাজন ছিলেন তার অন্যতম, হামিম মাহমুদ জয়ের বড় চাচা আব্দুল মতলিব ছিলেন শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (১৯৬৬),ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক, কমলগঞ্জ সাবরেজিস্টার মাঠে প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনে তৎকালীন ছাত্রলীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীনের সাথে ছিলেন অতন্দ্র প্রহরীর মতো,ছিলেন মুক্তিযুদ্ধা, তৎকালীন ছাত্রলীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীন বলেন আমরা যখন মুক্তিযোদ্ধের আগে ও পরে ছাত্রলীগের রাজনীতির সম্পৃক্ত ছিলাম তখন সময়ে আমাদের যে কয়েকটা পরিবার পৃষ্ঠপোষকতা করতো বা আমাদের জায়গা দিতো তার মধ্যে হামিম মাহমুদ জয়ের পরিবার অন্যতম, আর আমরা যখন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইন্ডিয়াতে ট্রেনিংয়ের জন্য ২৫ জন একসাথে রওয়ানা হই তখন আমাদের সাথে মাত্র একটা বন্দুক ছিল সেটা হামিমের চাচা আব্দুল মতলিবের তাও সেটা পাখি মারার বন্দুক,সে আওয়ামীলীগের পরিবারের মানুষ, তার পরিবারের অনেক ত্যাগ আছে আওয়ামীলীগে তাই আমি হামিমের সাফল্য কামনা করি,, হামিম মাহমুদের ছোট চাচা আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত, তার ভাই কমলগঞ্জ পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বর্তমান সহসভাপতি ও কমলগঞ্জ উপজেলা তরুনলীগের যুগ্ন আহবায়ক, ছোট ভাই ২০১৭ সালে কমলগঞ্জ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিল ও কমার্স শাখার সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করে, এর ছোট ভাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।হামিম মাহমুদ জয় তৃনমুল থেকে ছাত্র রাজনীতি করে এসেছেন, ২০০৭ সালে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি, ২০০৯ সালে স্কুল ছাত্রলীগের সভাপতি, ২০১২ সালে পৌর ছাত্রলীগের সিনিয়র সদস্য, ২০১২ সালে শেষ সময়ে কমলগঞ্জ সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের ১ নং যুগ্ম আহবায়ক ও ২০১৭ সালের উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী থাকলেও সহসভাপতি নির্বাচিত হন, এ-ই দীর্ঘ পথচলায় হামিম মাহমুদ জয় এবার আবারো কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী হয়েছেন, সকলের কাছে দোয়া ও সহযোগিতা ছেয়েছেন,, তিনি বলেন আমার উপর যদি নেতৃবৃন্দ আস্থা রাখেন ও আমি যদি ছাত্রলীগের সভাপতি হই তাহলে কমলগঞ্জ ছাত্রলীগকে তার অতীত ঐতিহ্য, সুনাম রক্ষার জন্য কাজ করব, ছাত্ররাই ছাত্রলীগ করবে।